বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

অমানষিক নির্যাতনের শিকার ছাত্র ইয়াসিনের প্রতি হাটহাজারী ইউএনও রুহুল আমিনের অনুপম ‘ভালোবাসা

প্রকাশিত হয়েছে-

আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

 

গতকাল (০৯ মার্চ ২১০ মঙ্গলবার হাটহাজারী উপজেলার কনক কমিউনিটি সেন্টার ও পশু হাসপাতালের পিছনে কামাল পাড়া মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমিতে এক শিশু শিক্ষার্থীকে শিক্ষকের অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বুধবার (১০ মার্চ) রাত ১২টার সময় দৃষ্টিগোচর হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রুহুল আমিনের। ভিডিওটি দেখার সাথে সাথে গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। তবে শিশুটির অভিভাবক মামলা করতে রাজি না হলে শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন শিক্ষক ছাত্র ইয়াসিনকে বাহির থেকে ধরে এনে শ্রেণিকক্ষে ঢুকিয়ে অমানবিকভাবে পেটাচ্ছেন। ভিডিওটি মুহূর্তে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। কাকতালীয়ভাবে আহত শিশু ইয়াসিনের গতকাল ছিল জন্মদিন।
এ বিষয়টি জানার পর জন্মদিনের উপহারসহ শিশু ইয়াসিনের বাসায় ছুটে যান জনদরদী হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।

এ বিষয়ে তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “৮ বছরের ইয়াসিনের গতকাল জন্ম দিন ছিল। আজ সকালে জানার পরে খেলনা উপহার নিয়ে গেলাম বাসায়। জিজ্ঞাস করলাম, ‘খেলনা পছন্দ হয়েছে?’
ছেলেটির ঝটপট উত্তর- খেলনা পছন্দ হয়েছে আরও দুইটা জিনিস আমার ভালো পছন্দ।
আমি জিজ্ঞাস করলাম কী কী? গুল্লি(খেলনা বন্দুক) এবং নিমোট (রিমোট) গাড়ি।
আচ্ছা রাতে কিনে নিয়া আসব? তাহলে দুইটা করে আনবেন। দুইটা করে কেন?
আমার ছোট ভাইয়ের জন্যও আনবেন। আচ্ছা “

ইউএনও আরো লিখেন, ছেলেটার শরীরের ব্যাথা নয় মনের ব্যাথা কমানোর চেষ্টা করছি, শরীরের ব্যাথা হয়তো নাপা খেলেই সেরে যাবে। ইয়াসিন দ্রুত ভুলে যাক এই জন্মদিনের স্মৃতি।

গতকাল শিক্ষকের এমন অমানবিক আচরণের দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন উলামায়ে কেরাম, লেখক ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ।

বিঃদ্রঃ
প্রশিক্ষণবিহীন, দাওরা হাদিস ও কামিল পাশবিহীন হাফেজ দারা হিফজ খানা ও মাদরাসা পরিচালনা করলে জাতি এর চাইতে বেশি কিছু আশা করতে পারেনা,

ওলামা হযরতদের প্রতি আকুল আবেদন,
অতিসত্বর দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টান ও প্রাইভেট হিফজ খানার দিকে নজর জন্য।