আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, অহন আমগোরে ভাত কাপড় দে। উক্তিটি জেলে থাকা এক রিক্সাচালকের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী পাখি বেগমের। আখি বেগম লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামের রিক্সাচালক বাশারের স্ত্রী । কিছুদিন পূর্বে একই এলাকার প্রভাবশালী আহাদ মাস্টারের ভাই শহীদের করা মামলায় রিক্সাচালক বাশারকে ধরে নিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইলিশাকান্দি গ্রামে এক টুকরো জমি কিনে সেখানেই দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন রিক্সাচালক বাশার। তার বসতভিটা দখলের উদ্দেশ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ মিথ্যে মামলায় জেল খাটছে বাশার, তাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোকটি জেলে থাকায় তিন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাখি বেগমের।পাখি বেগম বলছেন, একদিকে করোনা আর লকডাউন। অন্যদিকে স্থানীয় ফয়শালায় না বসে বারবার আমাদের জমি দখলের উদ্দেশ্যে কখনো ঘরে আগুন দেয়া, কখনো ভাঙচুর করে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন। আবার মিথ্যে মামলা দিয়ে আমার স্বামী কে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনটা সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছি।
আর এ সুযোগে পাখিকে ঘরছাড়া করতে গত ১৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন পাখি, তার সন্তান ও বসতঘরে হামলা চালিয়েছিল, এমন অভিযোগে তার চাচাতো ভাই বাদি হয়ে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার সংবাদ পেয়ে প্রতিনিয়ত পাখি বেগম কে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে আহাদ মাস্টার ও তার লোকজন।
এ বিষয়ে আহাদ মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার ভাই শহীদ কে দেখলেই পাখি বেগম বলে, “আমার স্বামীরে জেলে দিছোস, আমাগোরে ভাত কাপড় দে”।
অভিযোগ রয়েছে শুধু পাখি বেগমই নয়, এ এলাকার অনেকের জমিই নিজের দাবি করে একের এক মামলা দিয়ে এলাকার মানুষ কে হয়রানী করছেন আহাদ মাস্টার ও তার ভাই শহীদ গংরা। আহাদ মাস্টার ও তার ভাইদের কারণে জায়গা জমি থাকতেও পরের ঘরে থাকতে হচ্ছে এলাকার শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার কে। জমি কিনেও নিজ জমিতে ঘর করতে পারেনি আহাদ মাস্টারের হুমকি ধমকি আর মিথ্যে মামলার ভয়ে। ফলে অন্যের বাড়িতে থাকতে হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারটির।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, পাখি বেগমের ঘর ভাঙচুরের অভিযোগে তার চাচাতো ভাই দুলাল বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
Leave a Reply