ওমর ফারুক উখিয়া -কক্সবাজার।
সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে গোলাবারুদের আওয়াজে ভীতি ছড়িয়েছে বেশ কয়েকটা জায়গা। নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় চাষিরা করতে পারছেন না চাষাবাদ, শিক্ষার্থীরা যেতে পারছেনা স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা।এছাড়া শ্রমিকরা যেতে পারছেননা দান চাষ, জুম চাষ, দোকান পাঠ সহ বিভিন্ন কাজে।
সবকিছু মিলিয়ে এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন সেখানকার লোকজন।
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে সমানে চলছে গোলাগুলি। মাঝেমধ্যে গোলাবারুদ এপারেও ছুটে আসায় ঘুমধুমের জনবসতিতে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে অনেক দিন ধরে অভিভাবকরা স্কুলে, কলেজ,মাদ্রাসায় যেতে দিচ্ছেনা শিক্ষার্থীদের।
স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা,উপস্থিতি খাতায় অনুপস্থিতর সংখ্যা খুব বেশি। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক,ও কেন্দ্রীয় পরিক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে রোববার সকালেও সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি হওয়ায় আরো বেশি আতংকে রয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগি লোকজন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল রাবার বাগানের পাশে এসে পড়ায় সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা একাধিক সূত্র এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্যে কখন গোলাগুলি শুরু হয়, কখন থামে- সেটার কোনো পূর্বাভাস নেই। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মর্টার শেল কিংবা গুলি এসে পড়লে শঙ্কা দেখা দেয়। এর আগেও দু’বার হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল এসে পড়ার ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ।
কয়েকটা পত্রিকার সুত্রে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস জানান, মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি (বুলেট) তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া এসে পড়ার খবর স্থানীয় লোকজন অবহিত করে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সীমান্তে তাদের ওপারে গোলাগুলি শব্দ হচ্ছে। মাঝখানে মাত্র দুইদিন তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ ছিল। তারপর থেকে সেখানে গোলাগুলি চলছে। আমরা সীমান্তের খোঁজখবর রাখছি।এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের কারণে সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে গত দুই দিনে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে ডুকার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ডুকার অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ চলার অজুহাতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছেন বাংলাদেশে।
Leave a Reply