হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের এর আমীর মজলুম জননেতা আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন( ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন) অদ্য ১৯ আগস্ট ২০২১ ইং, ৯ মুহররম ১৪৪৩ হিজরী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২, ৫০ ঘটিকার দিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে জুনায়েদ বাবুনগরী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাবুনগরীর খাদেম মাওলানা জুনায়েদ জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হন সঙ্গীরা।
মুহাম্মদ জুনায়েদ (যিনি জুনায়েদ বাবুনগরী নামে অধিক পরিচিত) (৮ অক্টোবর ১৯৫৩ – ১৯ আগস্ট ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, ইসলামি বক্তা ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব ও শায়খুল হাদিস, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লী, মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক, ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টা সহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অনুসারীরা তাকে ‘মজলুম জননেতা’, ‘কায়েদে মিল্লাত’, ‘আপোষহীন সিপাহসালার’ ইত্যাদি উপাধিতে ডেকে থাকে। তিনি পাকিস্তানের বিখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ইউসুফ বিন্নুরীর শিষ্য। মুসলিম নেতা হিসেবে তিনি দেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। তিনি ২০১৩ সালের হেফাজত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেছিলেন।
Leave a Reply