আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এদেশের লক্ষ কোটি মুমিন মুসলমানের প্রাণের স্পন্দন। আল্লামা বাবুনগরী হাফিযাহুল্লাহকে নিয়ে শাহজাহানের দেওয়া আক্রমণাত্বক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মতো দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীনকে নিয়ে শাহজাহানের এমন বক্তব্য আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি। দেশের শীর্ষ একজন আলেমকে নিয়ে এমন বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্য-ই প্রমাণ করে শাহজাহান কতটা নিম্নশ্রেণীর ও ইতর প্রকৃতির মানুষ। বিবেক বুদ্ধি ও মনুষ্যত্ববোধ থাকলে তার বাবার বয়সের শ্রদ্ধেয় একজন মুরুব্বি আলেমকে নিয়ে কখনো এমন মন্তব্য করতো না এই কুখ্যাত শাহজাহান।
শাহজাহানের মনে রাখা উচিত-
আল্লামা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ফটিকছড়ির কৃতি সন্তান হলেও তিনি এশিয়ার গৌরব,গোটা বাংলাদেশের গৌরব। মুসলিম বিশ্বের অন্যতম ইসলামি ব্যক্তিত্ব। সত্যের আহবানে সদাজাগ্রত একজন বীর তিনি। আল্লামা বাবুনগরী একটি ইতিহাস,একটি বিপ্লব। তিনি এদেশের লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতার প্রাণের স্পন্দন,সাহসের প্রতীক ও আশার আলো। ঈমানী চেতনায় বলিয়ান বাতিলের বিরুদ্ধে এক সাহসী বীর আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হকের পক্ষে আপোষহীন একজন বীর সিপাহসালার। ন্যায় ও সত্যের পক্ষে তিনি নির্ভিক। বাতিলের রক্তচক্ষু কখনো ভয় করেন না। মাঠে ময়দানে ঈমানদীপ্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠে হকের কথা বলে যাচ্ছেন তিনি। যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আজ লক্ষ কোটি মুমিন মুসলমানের আস্থা বিশ্বাস ও ভালবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। লক্ষ কোটি মুমিনের প্রাণের স্পন্দন আল্লামা বাবুনগরীকে নিয়ে বিষোদগারের জন্য অনতিবিলম্বে শাহজাহান যদি নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
কুলাঙ্গার শাহজাহান! মনে রেখো।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী যদি আবারো ময়দানে আসার ডাক দেন তাহলে ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিলের লংমার্চ আর ৫ ই মে’র ঢাকা অবরোধের মতো লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা জান বাজি রেখে রাজপথে নেমে আসবে। তখন তোমার মতো শাহজাহানের কোন হদিস পাওয়া যাবে না।
এদেশে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর হাতে গড়া হাজার হাজার ছাত্র,
ভক্তবৃন্দ,শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী রয়েছে। শাহজাহানের এমন আক্রমনাত্মক বক্তব্যে সকলের মনে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আল্লামা বাবুনগরীর ভক্তবৃন্দ ফুঁসে উঠলে চুনোপুঁটি শাহজাহানদের অস্তিত্বও ফটিকছড়িতে খোঁজে পাওয়া যাবে না। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে ফটিকছড়িবাসী শাহজাহানকে বয়কট করবে,এবং তাকে যেখানে পাবে সেখানেই প্রতিহত করবে।
আমরা শান্তিপ্রিয়,দেশে শান্তির পরিবেশ চাই। আমরা কখনো আগ বাড়িয়ে সংঘাতে জড়াই না। তবে কেহ গায়ে পড়ে সংঘাতে জড়াতে এলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেই। ছাত্রলীগ, যুবলীগ সহ শাহবাগীরা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরও আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। তবে ধৈর্যেরও একটা সীমা রয়েছে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে আমরা ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেবো।
সুস্পষ্ট ভাষায় বলছি-অনতিবিলম্বে আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সহ শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে অশালীন ও বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্যের এই ঘৃণ্য খেলা বন্ধ না হলে দেশের লক্ষ কোটি তৌহিদি জনতা সমুচিত জবাব দেবে,ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply