নাগার্নো ও কারাবাখ ইস্যু নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধে আজারবাইজান জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও আজারবাইজানের মিত্র রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখের ৩০ বছরের দীর্ঘ দখলদারিত্ব শেষ করার প্রয়াসে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে জয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।’
মি. এরদোয়ান শনিবার তুরস্কের কাহরামানমারায় জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) ৭ম সাধারণ কংগ্রেসের বক্তব্য দানকালে এসব কথা বলেন।
ঐ বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, যে তিনি তার “ভাই” আজেরি রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভের সাথে ফোনালাপ করেছে। তখন আজেরি প্রেসিডেন্ট তাকে নাগারনো-কারাবাখের অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, তারা ৩০ বছর ধরে তাদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে দখলকৃত অঞ্চল থেকে বঞ্চিত ছিল। তবে আশা করি এখন তারা তাদের দখলকৃত অঞ্চল আবারও ফিরে পাবে।
তিনি আর্মেনিয়ায় গত তিন দশক ধরে এসব অঞ্চল দখল করে রেখেছে তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিষয়।
গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর নতুন এক সংঘর্ষের সূত্রপাত হওয়ার পরে আর্মেনিয়া গত ১০ অক্টোবর থেকে তিনটি মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে আজারবাইজানের বেসামরিক নাগরিক এবং সামরিক বাহিনীকে বারবার আক্রমণ করেছে। তারপর শুরু হয় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে তুমুল যুদ্ধ। যুদ্ধের শুরু থেকে আজারবাইজান এখন পর্যন্ত আর্মেনিয়ান দখল থেকে ২০০ টিরও বেশি গ্রামকে মুক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন আজেরী মিত্র ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
অন্যদিকে ফ্রান্স, রাশিয়া এবং আমেরিকা সহ বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলি একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির দাবি করেছে। ইতিমধ্যে আঙ্কারা বাকুর আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছে এবং আর্মেনিয়ার দখলদার বাহিনীকে সে এলাকা থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের চারটি রেজুলেশনসহ আরও দুটি সাধারণ পরিষদ ও একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার আহ্বান ছাড়াও আজারবাইজানের এলাকা থেকে “দখলদার বাহিনীকে জরুরী ভিত্তিতে সম্পূর্ণ শর্তহীনভাবে প্রত্যাহার” দাবিও জানিয়েছে আজারবাইজান।
জানা যায়, আজারবাইজানের নাগর্নো-কারাবাখ ও ততসংলগ্ন অঞ্চল সহ প্রায় ২০০ অঞ্চল প্রায় তিন দশক ধরে আর্মেনিয়া অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
এরদোয়ান আরও বলেন, তুরস্ক এই অঞ্চলে তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুরক্ষিত করার সময় বিভিন্ন ধরণের নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, “তুরস্ক যদি পূর্ব ভূমধ্যসাগর সহ এই অঞ্চলে তার লক্ষ্যগুলি বাস্তবায়ন না করে এবং তার স্বার্থ সংরক্ষণ না করে তবে অন্যান্য দেশ তাদেরকে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।”
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও উল্লেখ করেন, তিনি তুর্কি প্রজাতন্ত্রের অধিনে উত্তর সাইপ্রাস (টিআরএনসি) সফর করবেন এবং আগামী সপ্তাহে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দলের (এমএইচপি) চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করবেন।
Leave a Reply