বিচারকের সামনে আজ এটাই ছিলো আপনার মূল কথা। অসংখ্য মামলার বোঝা আর রিমান্ডের নিশ্চিত ঝুঁকি চোখের সামনে দেখার পরেও যার আকুতি থাকে কেবল এবাদতের সুযোগ চেয়ে। সফলতা তাকে ছেড়ে আর কার পদচুম্বন করবে? প্রকৃত ঈমানদার এমনই হয়।
বিশ বছর আগে ২০০১ সালে আল্লাহর একান্ত প্রিয় কিছু বান্দাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে কিউবায় অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিয়ে যাওয়া হয়। দিনের পর দিন বন্দি থাকার কারণে তাদের পক্ষে দিন, তারিখ, সময় এবং কেবলা নির্ধারণ করার উপায় ছিলো না। তারা সেখানে পৌঁছার পর কারারক্ষীদের নিকট সরবপ্রথম জানতে চেয়েছিলেন- ‘এখন কোন সময়? কেবলা কোনদিকে?’
সর্বপ্রথম অনুরোধ জানিয়েছিলেন- ‘আমাদেরকে একটু নামাজের সুযোগ দাও!
প্রিয় শায়েখ! আজ আদালতে ওঠার পর বিচারকের কাছে আপনার আরজি প্রমাণ করে দেয় যে, আপনি দ্বীনের পথে আত্মোৎসর্গী, আপোষহীন সেইসব মহামানুষদের কাতারেই রয়েছেন। ইতিহাস হয়ে থাকবে আপনার আত্মবিশ্বাস। শতশত পুলিশ বেষ্টনীর ভেতরে থেকেও আপনার প্রত্যয়দীপ্ত মুচকি হাসি ইসলামপ্রেমীদের প্রেরণা যোগাবে।
Leave a Reply