শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও হবে

প্রকাশিত হয়েছে-

ঘেরাও হবে, দূতাবাস ঘেরাও হবে।

ফ্রান্সে প্রকাশ্যে বহুতল ভবনে রাসূল সা. এর ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আগামী ২৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ওইদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। দূতাবাস অভিমূখে বিশাল গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন আন্দোলনের সংগ্রামী আমীর হযরত পীর সাহেব চরমোনাই।

এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দুর্নীতি, দুঃশাসন, নারী নির্যাতন-ধর্ষণ দেশকে চরম সঙ্কটে ঠিলে দিয়েছে। নারী নির্যাতন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, সকল অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে ইসলামের অনুশাসনে ফিরে আসতে হবে। ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি সম্ভব নয়।

গতকাল শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা ১০নং সেক্টর সি শেল কমিউনিটি সেন্টারে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম রহ. ইসলামিক রিচার্স সেন্টার বাস্তবায়ন কমিটি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা। বক্তব্য রাখেন মাওলানা আরিফুল ইসলাম, হাজি আবু সাঈদ, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসাইন, এ্যাড. শওকত হোসাইন প্রমূখ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ সীমাহানভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে এর উৎসগুলো আগে বন্ধ করতে হবে। সেইসাথে শিক্ষার সকল স্থরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাড়ায় মহল্লায় ধর্ষণবিরোধী কমিটি গঠন করে ধর্ষণ বন্ধে ইসলামের বিধান তুলে ধরতে হবে।

পীর সাহেব বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বর্তমান বাজার ব্যবস্থা পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসন দায়সারা দু একটি অভিযান পরিচালনা করেই শেষ। প্রকৃত অর্থে এই খণ্ডকালীন অভিযান বাজারে কোনো প্রভাব ফেলার পরিবর্তে বাজারকে আরও উস্কে দিচ্ছে। ফলে সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ একদিকে কর্মহীন, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বেশি হওয়া দিশেহারা। এ অবস্থায় খাদ্য বিভাগের আওতায় বাজারে ওএমএস চালু, টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য-পণ্য বিক্রি বাড়ানো এবং প্রশাসনের সমন্বিত বাজার তদারকি জোরদারের দাবি জানান তিনি।