ঈদগাঁওতে এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

ইমরান তাওহীদ রানা:- ঈদগাঁও,

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের মধ্যে ইছাখালী রোড় অর্থাৎ গোমাতলী সড়ক থেকে চৌদ্দ কানিয়া পাড়া হয়ে পূর্ব ইছাখালী কোনা পাড়া পর্যন্ত ১৭৫০ মিটার রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নের রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস এম ইন্টার প্রাইজ অনুকূলে কাজ নেওয়া হাবিবুল্লা খাঁন জনি। এ কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের কনক্রিট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, এই রাস্তার কাজ তদারকিতে কক্সবাজার সদর উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে বলেও অভিযোগ করেন। এলজিইডির ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রকল্পে অত্যাধুনিক ইউনি ব্লক ফুটপাথ সিস্টেমের একটি কোটি টাকার সড়ক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইটের খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে রাস্তায়। এলাকাবাসীরা এ অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কয়েকজন প্রভাবশালী মহলের প্রচেষ্টায় দায় সারা ঢালাই দিয়ে শেষ করলো বল্কের সিসির কাজ।

এ রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙে পানিতে থলিয়ে যাবে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে এ সড়ক। ফলে সরকারি বরাদ্দে অবমূল্যায়নের ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হবে এলাকাবাসীদের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করা হচ্ছে। বালুর পরিবর্তে কাদামাটি যুক্ত বালি দিয়ে মিশ্রত হচ্ছে ঢালাই। তার ওপর নিম্নমানের পুরোনো ইটের খোয়া ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের ইটের ভাঙা অংশ রাবিশ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পুরোনো সড়কের কাদা না উঠিয়ে তার উপরই নতুন কাজ করা হচ্ছে। এতেও নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। রাস্তার কাজে স্থানীয় স্থানীয় সরকার প্রকৗশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাউকে উপস্থিত বা এসে তদারকি করতে দেখা যায়নি। অথচ ঢালাই কৃত সিসি তে পা দিয়ে চাপ দিলেই তা ভেঙে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় আজিম, কামাল ও জসিম বলেন, ঠিাকাদারকে টেন্ডারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার কথা বললেও কোনো তোয়াক্কা না করে অনুমোদন বিহীন নিম্নমানের বালি ও কংক্রিট দিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।

অভিযুক্ত ঠিকাদার হাবিবুল্লা খান জনি কাজের অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমার কাজ ভালো হচ্ছে, এ কাজ এলজিইডিই বুঝে নেবে। তাদের কুঝিয়ে দেব।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, কাজের মান ঠিক রেখে কাজ না করলে তা আমরা মেনে নিব কেন? অবশ্যই কাজের মান ঠিক রাকতে হবে।

এলজিইডির কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ইছাখালী সড়ক উন্নয়ন কাজে দুর্নীতির একটি খবর পেয়েছি। উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ না হলে ও কাজে অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *