বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঈদগাঁওতে কৃষি জমির ধান লুটের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে-

ঈদগাঁও- প্রতিনিধি,

 

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার সমাজ সেবক, চান্দের ঘোনার এলাকার জমিদার, জনগনের প্রিয় বন্ধু সৌদি প্রবাসী রমিজ আহমেদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কৃষি জমি দখল ও প্রায় এক একর কৃষি জমির ধান লুটের অভিযোগ উঠেছে।

এঘটনায় রমিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।অভিযুক্তরা হলেন,মৃত আমির আলীর ছেলে রমিজ আহমদ, অছিউর রহমান,মতিউর রহমান,লাল মিয়ার স্ত্রী সামারুক,আমির সুলতানের স্ত্রী লায়লা বেগম,মুফিজুর রহমানের স্ত্রী রোজিনা আক্তার।
মঙ্গলবার ২ মে সকালে ঈদগাঁও ইউনিয়নের চাঁন্দের ঘোনা এলাকায় এঘটনা ঘটে।

জানা যায়,বর্ণিত উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের চান্দের ঘোনা এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে রমিজ আহমেদ গং একই এলাকার মোহাম্মদ শফির ছেলে আমান উল্লাহ গং এর কৃষি জমি দখলের চেষ্টা করলে আমান উল্লাহ বাদী হয়ে ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ ইংরেজি তারিখে রমিজ আহামদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালতে দায়ের মামলা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,এস খতিয়ান নং-২৫৩ নং খতিয়ান হইতে অধীনের আমান উল্লাহর পিতা ক্রয় করিয়া ক্রয় সূত্রে মালিকানা লাভ করিয়া তাহার নামে বি,এস ৫০ নং সৃজিত খতিয়ান চূড়ান্ত প্রচার আছে। যাহার বিরোধীয় বি. এস দাগ নং১২২৩, ১২২৪, ১২২৭, জমির পরিমান ৯৩.৩৪ শতক নাল জমির সন সন খাজনাদী দাখিল করিয়া আসিতেছি। ইহাতে ২য়পক্ষগনের কোন ধরনের স্বত্ত্ব সামিতা নাই ও ছিল না। সম্প্রতি দেশে জায়গা জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রমিজ আহমদ স্বত্ব দখলীয় জমিতে পরধনপোতী লুলোপ দৃষ্টি পড়ায় অধীনের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ভোগ দখলীয় জমি গায়ের জোরে জবর- দখল করার পায়তারা চালানো হচ্ছে।তারই ধারাবাহিকতায় রমিজ এর ভাড়াটিয়া মাস্তান ও সন্ত্রাসী নিয়া অধীনের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া নিম্ন তপশীলোক জমিতে উপস্থিত হইয়া অধীনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ অধীনকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।

আদালত মামলাটি কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বাদীপক্ষ।

এরপরই ঈদগাঁও থানা পুলিশ ও কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলে জানিয়েছেন।

আদালতে মামলা চলমান থাকলে ও উপরের বর্ণিত সময়ে ১৪৬ ধারা অমান্য করে রমিজ আহমদ গং জোরপূর্বক কৃষি জমির ধান কেটে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী আমান উল্লাহ জানান,আমি কাজের থাকার সুযোগ বুঝে অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার ধান গুলো কেটে নিয়ে যায়।

জানতে চাইলে অভিযোগ উঠা রমিজ আহমদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ধান লুটের অভিযোগ মিথ্যা। আমার জমির ধান আমি কেটে নিয়ে এসেছি।

বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃতপক্ষে হস্থক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা।