বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

উখিয়ায় ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের দ্বিতীয় দিনের ট্রেনিং সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকাশিত হয়েছে-

ওমর ফারুক উখিয়া- কক্সবাজার।

‘সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত তিন দিন ব্যাপী ইয়ুথ এ্যাম্বাসেডর ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের দ্বিতীয় দিনের ট্রেনিং সম্পন্ন করা হয় হয়।

আজ ২৪ আগস্ট ২০২২ইং সকাল দশটা টা হতে বিকাল চারটা পর্যন্ত উখিয়ার সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ও সুশীল সমাজের ছাত্র প্রতিনিধিগন নিয়ে উখিয়া পিএফজির তত্বাবধানে উখিয়া গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে এই আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ এর কক্সবাজার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর মুহাম্মদ আব্দুর রব খান।

এতে ট্রেনিং এ প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের এসপিএল প্রজেক্টের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তুহিন আফসারি, পার ইউনিটের প্রধান সোহেল রানা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের মাঈনুল ইসলাম।

মূলত তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রনেতাদেরকে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণটির আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষনের প্রথম দিনে আলোচনা করা হয়,পরিচয়? শান্তি কী? গণতন্ত্র কী? গণতন্ত্র করতে আমাদের কি কি প্রয়োজন সহ সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন?

দ্বিতীয় দিনেই আলোচনা করা হয়,ঘৃনা কাকে বলে কত প্রকার এর সংজ্ঞা, নেতা কাকে বলে? নেতা হতে কি কি প্রয়োজন? পরিচয়ের দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান এবং বিদ্বেষও সংস্কার সহ প্রভাব,
নেতৃত্ব কী? নেতৃত্ব করতে কি কি প্রয়োজন ও নেতার আত্মবিশেস্লেষন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এই বিষয়ে প্রশিক্ষকদের সাথে ছাত্র নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন যে, একজন নেতা হিসেবে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই যৌথ কোনো কাজে সফলতা পেতে হলে নেতৃত্ব হতে হবে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল। নেতৃত্বের কারণে অনেক অসাধ্য সাধন করা যায়, অনেক ক্ষতি থেকেও নেতৃত্বের গুণেই টিকে থাকা যায়। সঠিক নেতৃত্বের প্রভাবে একটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান, দেশ এমনকি বিশ্বও বদলে যেতে পারে। একজন যোগ্য নেতা ও তার নেতৃত্বের হাত ধরে একটি নতুন সমাজ বিনির্মাণ হতে পারে। তাই সৎ, যোগ্য, সাহসী এবং সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের জন্য নেতৃত্ব প্রয়োজন হয়।

শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবিধা দেয়ার নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে না জড়িয়ে, সকল নির্বাচনে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে, সকল সরকারী অধীদপ্তরে দূর্নীতিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে, রাজনৈতিক দলের বৈষম্য দূর করে বিগত দিনের রাজনৈতিক দন্দ ভুলে গিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি গড়ার বিষয়ে তারা সরকার, রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।