কক্সবাজারের ব্যস্ততম উখিয়া সদর স্টেশনের সিএনজি পার্কিং নিয়ন্ত্রণ নিতে রোববার সকাল ৯ ঘটিকায় স্থানীয় বিএনপির সহযোগী সংগঠনের দু গ্রুপের মধ্যে দিবালোকে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জানাগেছে, আওয়ামী সরকার পতনের পর উখিয়া সদর স্টেশনের প্রায় ১২ শতাধিক সিএনজি ও টমটমের চালক’রা চাঁদাবাজ মুক্ত হলেও সাধারণ ড্রাইভার’রা একটু স্বস্তি ফেলেছে। দুঃখজনক হলেও সাম্প্রতিক সময়ে উখিয়ার ১০ টি লাইনে সাধারণ চালকেরা প্রতিনিয়ত ফের টোকেন বাণিজ্যের কবলে পড়েছে। রোববার সকাল ৯ ঘটিকায় সিএনজি সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ মনির এবং সাধারণ সম্পাদক ছাত্রদলের উখিয়া কলেজের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা মোরশেদের নেতৃত্বে সিএনজি লাইন নিয়ন্ত্রণ নিতে আসলে সাধারণ চালক শ্রমিক, ড্রাইভার, শ্রমিক নেতা ও উখিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাইফুল সিকদারের গ্রুপের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
উখিয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিএনজি সমিতির সভাপতি আহসান উল্লাহ মনির গণমাধ্যমে বলেন, আমরা সমিতির দায়িত্বে রয়েছি, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা যুবদলের প্রভাব বিস্তার করে সাইফুল সিকদার সিএনজি লাইন থেকে ওপেন চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে, আমাদের সমিতির নেতৃত্ববৃন্দ অভিযোগ পাওয়ায় ঘটনা স্থলে চাঁদাবাজদের দমন করতে গেলে যুবদল নেতা সাইফুল সিকদারের নেতৃত্বে আমার সাধারণ সম্পাদক মোরশেদের উপর হামলা করে। এসময় আমাদের ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
সিএনজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রদল নেতা মোরশেদ গণমাধ্যমে জানান, যুবদল নেতা সাইফুল সিকদার চাঁদা দাবি করে, আমরা সমিতির নেতৃত্ববৃন্দরা প্রতিবাদ করলে ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
যুবদলের আহবায়ক সাইফুল সিকদার গণমাধ্যমে জানান, সিএনজি লাইনে ড্রাইভারা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে লাইন পরিচালনা করে যাচ্ছে, হঠাৎ বিএনপি নেতা আহসান উল্লাহ মনির ও ছাত্রদল নেতা মোরশেদ কমিটি একটা এনে সিএনজি লাইনে দখল-বেদখলে লিপ্ত হয়। এবং সাধারণ শ্রমিকদের জিম্মি করে টোকেন বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অপচেষ্টা করলে আমরা শান্ত প্রিয় উখিয়াকে চাঁদাবাজ মুক্ত করার জন্য প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি, এসময় সাধারণ সিএনজি চাকল সহ ৭/৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে। পাশাপাশি যুবদল নেতা সাইফুল সিকদার জেলা প্রশাসক ও উখিয়া থানার ওসিকে চাঁদাবাজদের কঠোর ভাবে দমনের জন্য অনুরোধ করেন।
এদিকে দিবালোকে উখিয়া সদর স্টেশনে টোকেন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি সহ নানান অপরাধ পরিচালনা হলেও স্থানীয় প্রসাশন নিরব! পাশাপাশি উখিয়ার আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি লক্ষ্য করা গেছে।
উখিয়া থানার ওসি জানান, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি, টোকেন বাণিজ্য ও চাঁদাবাজদের দমনে আমরা কঠোর। পাশাপাশি উখিয়া গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
Leave a Reply