কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালি উত্তর জামতলী এলকায় অবস্থিত হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা (রা) বালিকা হিফ্জ খানা ও এতিমখানার বালিকা হিফ্জ বিভাগের ছাত্রী ফাহিমা আক্তার কাজল (১০) মাত্র ৯ মাস ৮ দিনে পবিত্র মহা গ্ৰন্থ আল কোরআন মুখস্থ করে হেফজ সমাপ্ত করেন।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উক্ত মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ করেন, উক্ত প্রতিষ্টানের পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম।
তিনি বলেন,আমার মাদ্রাসার শিক্ষিকা আমার সহধর্মিণী, তিনি উচ্চ শিক্ষিতা ও অনেক ভালোমানের হাফেজা,তিনি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে মাদ্রাসা সকল ছাত্রীরা যেন দ্রুত সময়ে মহাগ্রন্থ আল কুরআন হেফজ সমাপ্ত করে পিতা-মাতা, উস্তাদসহ অত্র প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জন করে এইটাই আমলে নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন,পবিত্র কোরআনই একমাত্র সর্বশ্রেষ্ট কিতাব, যেটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুখস্থ করা হয় মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতের মাধ্যমে। আল কোরআন মুখস্থকারীদের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে নানান পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে। হাদিসে স্পষ্টভাবে এসেছে,পবিত্র কোরআনের ধারক-বাহকদের সম্মানের কথা। রাসুল (স.)বলেন,তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ঐ ব্যক্তি,যে ব্যাক্তি নিজে কোরআন মজিদ শিক্ষা করে,এবং অন্যদের শিক্ষা দেয়।
অবাক হওয়ার বিষয় হলো,বিপুল সংখ্যক কোরআনের হাফেজ/হাফেজাদের কোরআন মজিদ মুখস্থ কারার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই।
কেউ বুড়ো বয়সে,কেউ কিশোর বয়সে, কেউ আবার শিশু অবস্থায় কোরআন মুখস্থ করছেন। এমনকি অন্ধ নর/নারীরা মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতের মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াত শুনে শুনে মহা গ্ৰন্থ আল-কোরআন মুখস্থ করার নজির রয়েছে।মহা গ্ৰন্থ আল-কোরআন মুখস্থ করার যেমিন নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই,তেমনি দিনে কিংবা মাসে কে কতটুকু মুখস্থ করবে তার কোন বিধি-নিষেধ নেই। এভাবেই সমগ্র পৃথিবীতে অল্প বয়সে,কম সময়ে পবিত্র মহা গ্ৰন্থ আল-কোরআনের হাফেজ/ হাফেজা হচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র ৯ মাস ৮ দিনে পুরো কোরআন শরীফ মুখস্থ করে হাফেজা হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছেন উখিয়ার ফাহিমা আক্তার কাজল।
ফাহিমা আক্তার কাজল’র বাড়ি উখিয়া উপজেলা ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন এর থাইংখালি উত্তর জামতলী আবুল বশর এর মেয়ে ফাহিমা আক্তার কাজল।
বাবা,আবুল বশর তার মেয়ে অল্প সময়ে কুরআনের হাফেজ হওয়ায় মাদ্রাসার কতৃপক্ষ ও মহান আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন,এবং তিনি তার মেয়ে হাফেজা ফাহিমা আক্তার কাজল’র জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন দেশ বাসীর কাছে।
হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা(রা) বালিকা হিফ্জ খানা ও এতিম খানার হিফ্জ বিভাগের ছাত্রী ফাহিমা আক্তার কাজল এর এর হেফজের শেষ সবক শোনেন অত্র প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষিকা।
উক্ত প্রতিষ্টানের প্রধান পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই নাজেরা সহিহ শুদ্ধভাবে শেষ করে হিফজ শুরু করেন। হিফজ শুরুর পরই তার শিক্ষিকা, তার মাঝে মেধার শক্তি দেখতে পান। সে ধারাবাহিকতায় তার শিক্ষিকা অনেক চেষ্টা চালিয়ে মাত্র ৯ মাস ৮ দিনে কোরআনের হিফজ সমাপ্ত করার সহযোগিতা করেন,এতে হাফেজা ফাহিমা আক্তার খানমের শিক্ষিকা তার ছাত্রীর জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার নিকট শুকুরিয়া আদায় করেন,এবং তাঁহার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছেন।
উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষিকা বলেন, গত ২০২১ সালে অত্র মাদ্রাসা থেকে ৫ জন হাফেজা হেফজ সমাপ্তি করে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় দিয়া হয়েছে। এবং চলিত বছরের ২০২২ সালে আরো ৫ জন’ হিফ্জ সমাপ্তি করে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় দিয়া হবে।
প্রতিষ্টানের প্রধান পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম শেষ পর্যায়ে চলিত বছরের যারা হিফ্জ সমাপ্তি করবে তাদের সময় নির্ধারণ করলে বলেন আগামী নবেম্বর মাসে ৫ জনের হিফ্জ পুর্ণাঙ্গ ভাবে শেষ হবে।
যারা সমাপ্তি কারি আছেন, তৌহিদা ইয়াছমিন(১১)পিতা মোহাম্মদ আক্তার হোসেন গ্রাম মনখালী,বাহাস ছড়া,টেকনাফ শফিকা আক্তার (১৪)পিতা হাফেজ আব্দুল গনি হোয়্যাইক্ষ্যং লম্বাবিল, হ্নীলা, টেকনাফ, ।হারেসা আক্তার(১৩)পিতা মুহাম্মদ নুর গ্রামঃ দরহা পাড়া, হ্নীলা, টেকনাফ। সালেহা খাতুন কামাল(কোবরা)(১২)পিতা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন (বর্তমান মেম্বার ৬নং ওয়ার্ড , রহমতের বিল, পালংখালী উখিয়া।
উল্লেখ্য উখিয়ার শেষ সিমান্ত ৫নং পালংখালী ইউনিয়ন এর থাইংখালি উত্তর জামতলী শুক্রর মেম্বার বাড়ির সংলগ্ন অবস্থিত আবাসীক ও অনাবাসিক বালিকা হিফ্জ মাদ্রাসা ও এতিম খানা’ মাদ্রাসাটি ২০২০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠতা করেন, অত্র এলাকার কৃতি সন্তান মৃত সোনালী সিকদার এর ছোট সন্তান মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম। এতে ৪০ জন ছাত্রী ২ জন শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদান করা হয়।
মাদ্রাসা যোগাযোগ নাম্বারঃ-০১৫৭৫-১৬১৯৯৩
Leave a Reply