বৃহস্পতিবার , ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নে নিখোঁজ হওয়া ইউপি সদস্য কামাল মেম্বারের মরদেহ ১১ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়।

প্রকাশিত হয়েছে-

এইচ এম শাহাবউদ্দিন তাওহীদ।

উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন মেম্বার নিখোঁজ হওয়ার ১১ ঘন্টা পর পার্শ্ববর্তী খালে ভাসমান অবস্থায় দেখা গেলে মৃতদেহ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পোস্টমর্টেম এর জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন মর্গে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার দিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রতিদিনের মতো স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে ইনজেকশন দিতে বাসা থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সারারাত সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে বিষয়টি রাতেই স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করা হয়। দিকে স্থানীয়রা একটি খালে ভেসে থাকা একটি মরদেহ দেখতে পেলে তৎক্ষণিক প্রশাসনকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং তা কামাল মেম্বারের বলে নিশ্চিত করে। এদিকে ইউপি সদস্য কামালের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও বইছে শোকের স্রোত। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। অনেকে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। স্থানীয়রা জানান কামাল মেম্বার ছিলেন একজন জনপ্রিয় ও সাহসী জনপ্রতিনিধি। কে বা কারা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এখনো স্পষ্ট নয়। গত এক-যুগ আগে তার আপন ভাই জসিমকেও একই ভাবে হত্যা করে মেরিন ড্রাইভে ফেলে রেখেছিল, আরেক ভাইকেও পরিকল্পিত ভাবে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী পরিবারের।