মঙ্গলবার , ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

উচ্ছেদ আতঙ্কে শত পরিবার সরকারি ঘর নিতে চাইনা কেউ ঈদগাঁও’তে

প্রকাশিত হয়েছে-

ইমরান তাওহীদ রানাঃ- ঈদগাঁও

ঈদগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব দরগাহ পাড়া প্রকল্পের নামে দুই শতাধিক পরিবারের দীর্ঘদিনের জনবসতিপুর্ণ এলাকায় উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ ২৩ই সেপ্টেম্বর ২০২২ইং রোজ জুমাবার বিকাল ৪টায় এতে ভুক্তভোগী একশত পরিবারের মাঝে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়েছে উচ্ছেদ আতঙ্কে ভুক্তভোগীদের পক্ষে নুরুল আবছার সহ সকলে জানান আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি উদ্যেগ কে স্বাগত জানাই, কিন্তু ঈদগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব দরগাহ পাড়া মকবুল ফকির পাহাড়টি স্বাধীনতার যুদ্ধের আগ থেকে ১০-১২ টি পরিবার এইখানে বাস করলে ও ১৯৯১ সনে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সব চেয়ে বড় ঘুর্ণিঝড় এর পরে উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে এই পাহাড়ি জনপদ বসবাসের জন্য এই পুর্ব দরগাহ পাড়ায় শরণার্থী মতো বসবাস শুরু করে।


এতে দীর্ঘ বছর পাহাড়ি পশুর সাথে লড়াই করে জীবন চালিয়ে যাচ্ছিলো ২০০০সালের পরে আরো ভুমিহীন মানুষ উক্ত জায়গায় বসবাস শুরু করলে স্থানীয় ভোমরিয়া ঘোনা রেঞ্জের ও বন বিভাগের ঘর উচ্ছেদ মামলা হামলা নানান কষ্টের শিকার হয় তবু ও আশ্রয় হীন মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পাহাড়ে বিদ্যুৎ বিহীন পানি ও চলাচলের রাস্তা ছাড়া দীর্ঘ বছর কেটে দেয়। এরি মাঝে নতুন আরেক আতঙ্কে মুজিব বর্ষের ঘর উপহার দিতে গিয়ে কক্সবাজার সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী ভুমি সহ সরকারের লোক জন এই স্থানে ঘর নির্মাণ করতে গেলে মানুষের মাঝে উচ্ছেদ আতঙ্ক সহ নানান ভয়ে সঞ্চার ঘটে, খেটে খাওয়া মানুষ গুলি তাদের অল্প অল্প ভিটি উপর ফলজ বনজ নানান গাছ গাছালী ফলে ফুলে ভরা এই ভিটি কিছুতেই আমরা ছাড়তে চাইনা প্রয়োজনে পলিথীনের ঘরে সন্তান সন্ততি নাতি নাতনী সকলকে নিয়ে খেয়ে পরে বেচে আছি।

কিন্তু মুজিব বর্ষের ঘর উপহার নামে দুই রুমের ঘর গুলিতে আমাদের বসবাস করা সম্ভব নয় আমরা আমাদের বাড়ি চার পাশে শাক সবজির বাগান হাস মুরগী পালন করতে বর্তমানে অবস্থানে আমরা সুখে আছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি একটাই অনুরুধ আমাদের উচ্ছেদ করা ঘর গুলি আমরা চাইনা এই ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রসাশকের কাছে আমরা ঘন স্বাক্ষর সম্বিলিত আবেদন ও জানিয়েছি এই ব্যাপারে যতাযত কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী