শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

এই যুগে বাবা মায়ের কাছে সন্তান ও নিরাপদ না 

প্রকাশিত হয়েছে-

আলমগীর হোসেনঃ- বিশেষ প্রতিনিধি

একটু পরে দেখেন কলিজা কেঁপে উঠবে
গত ৭ নভেম্বর কুমিল্লার দেবিদ্বারে ফাহিমা নামে পাঁচ বছরের একটি শিশু হারানো যায়। সর্বত্র খোঁজাখুজি করে পাওয়া যায় নি। সন্তান হারা বাবা মাইকিং করেন। ওঝা কবিরাজের কাছে দৌড়ান।

থানায় ডায়েরী করেন কোথাও নেই তার সন্তান। কোথায় গেলে পাওয়া যাবে তার সন্তানকে। আহ! বাবার কি আহাজারি।
ঘটনার কয়েকদিন পার হয়। একটি ডোবায় শিশু ফাহিমার লাশ পাওয়া যায় একটি বাজারের ব্যাগে।
পুলিশ ঘাতককে খুঁজতে শুরু করে। পুলিশের পাশাপাশি র ্যাবও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গতকাল রাতে র ্যাব তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে
এক নারীসহ পাঁচজন ঘাতককে গ্রেফতার করে।
এবার আসেন মূল ঘটনায়।

ফাহিমার বাবা আমির হোসেন। পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলো লাইলী আক্তার নামে একজন নারীর সাথে। লাইলী আমির হোসেনের চেয়ে ৫ বছরের বড়।
একদিন আপত্তিকর অবস্থায় আমির হোসেন ও লাইলীকে দেখে ফেলে ছোট্ট ফাহিমা। আম্মুকে বলে দেবে বলে দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে ফাহিমা।

এতেই পাষন্ড বাবা আমির ও তার পরকীয়া প্রেমিকা লাইলী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ফাহিমাকে খুন করতে পরিকল্পনা করে।
ঘটনার কয়েকদিন পর। বেড়াতে যাওয়ার নাম করে ঘাতক বাবা আমির হোসেন তার মেয়ে ফাহিমাকে সাথে নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যায় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আরো তিন ঘাতক প্রস্তুত থাকে। আমির তার মেয়ে ফাহিমাকে পরিকল্পনা অনুযায়ী ডোবার পাশে নিয়ে যায়। প্রথমে আমির ছুরি দিয়ে মেয়ে ফাহিমা পায়ে আঘাত করে। এরপর আমির হোসেন নিজেই তার কন্যার নাকমুখ চেপে ধরে। আর সহযোগীরা হাত পা চেপে ধরে। সবাই মিলে ফাহিমার মৃত্যু নিশ্চিত করে।

আর এ ঘটনা সামনে দাড়িয়ে দেখছিলো পরকীয়া প্রেমিকা লাইলী। কারন পাষন্ড আমির হোসেন তার পরকীয়া প্রেমিকা লাইলীকে কথা দিয়েছিলো নিজের মেয়েকে তার সামনেই হত্যা করবে। পাষন্ড আমির তাই করে দেখিয়েছে। আর কিছু লেখা আমার পক্ষে সম্ভব না।

নোটঃ ভয়ংকর এক রোগের নাম পরকীয়া। মহান সৃষ্টিকর্তা সবাইকে ভালো মন্দ বুঝার তৌফিক দান করুন।