বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

এক বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে পৌর পরিষদ ও পৌর মেয়র কে পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এর ফুলেল শুভেচ্ছা

প্রকাশিত হয়েছে-
এস এম মাসুদ রানাঃ- বিরামপুর দিনাজপুর প্রতিনিধি,

গতবছর ১৪ ফেব্রুয়ারী ২১ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন-পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী। গতকাল সোমবার পৌর মেয়র আককাস আলীর দায়িত্ব গ্রহণের সাফল্যের এক বছর পূর্তি হলো।

এক বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বিরামপুর পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন পৌর পরিষদ ও পৌর মেয়র কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এ সময় প্রধান অথিতী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বিশেষ অথীতি হিসাবে ছিলেন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খাইরুল আলম রাজু ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার ,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মহন্ত ,আওয়ামীলিগের সহ সভাপতি নারু গোপাল কুন্ডু , শিবেশ চন্দ্র কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন , উপাধক্ষ্য মেসবাউল হক I অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন
পৌর সচিব সেরাফুল ইসলাম আরোও বক্তব্য রাখেন নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম , উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু সোয়েব মোঃ সজল ,হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ,উপ সহকারী প্রকৌশলী বিপাশা রায়

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২য় ধাপের বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি’ ২১ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর করোনা মহামারির মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করে বিরামপুর পৌরসভার উন্নয়ন ও জনমুখী পৌরসভা গঠনে অনন্য উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এক বছর অতিবাহিত করলেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী।

দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথমেই তিনি পৌরসভার নাগরিকদের সরাসরি সাক্ষাত উম্মুক্ত করে দিয়েছেন। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসিক বেতনভাতা রেগুলার রেখেছেন।বিরামপুর পৌরসভাকে নান্দনিক ও সুশোজ্জিত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন পৌর মেয়র অধ্যক্ষ মোঃ আককাস আলী। অতি অল্প সময়ের মধ্যে নিজেকে পৌরবাসীর কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। তিনি এক বছরের মধ্যে বিরামপুর পৌরসভা চিত্র পাল্টে দিয়েছে। এক বছর সময়ে মধ্যে পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় রাস্তা-ঘাট পাকা করণ, ড্রেনেস ব্যবস্থার উন্নয়ন,আরসিসি ড্রেণ নির্মাণ, মসজিদ,মাদ্রাসা ও এতিমখানার ব্যাপক উন্নয়ন করেন তিনি। এছাড়াও শহরের শোভা বৃদ্ধির জন্য তাঁর পরিকল্পনায় শহরে মহাসড়কের উপর রোড ডিভাইডারের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই গাছগুলো ফুল ও লতাপাতায় ভরে উঠেছে। শহরের রাস্তায় চলাচল কারীগণ উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক মুগ্ধতা। মেয়রের এই সফল পরিকল্পনাকে সাধুবাদ ও অভিন্দন জানাচ্ছেন পথচারিরা।

বিরামপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের পেয়ে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েই পৌরসভার উন্নয়নের পরিকল্পনা ও নানা ভোগান্তি থেকে বিরামপুর পৌরবাসীকে মুক্তি দিতে দিনরাত নিরালস ভাবে ছুঁটে চলেছেন তিনি। পৌর পরিষদের কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে ১ থেকে ৯ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত তদারকি করছেন প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লার উন্নয়ন মূলক কাজ।

বিরামপুর পৌরসভা বিগত দিনের ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে পৌর এলাকা তৈরী হয়েছে পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে এক নতুন শহর। ড্রেনেজ সমস্য সমাধানের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নয়ন,পৌর শহরের রাস্তাঘাটের সংস্কার, মাছ বাজার, কাঁচা বাজার ও ঐতিহ্যবাহী পশুহাট পাকাকরণ, মহাসড়কের ডিভাইডারের মাঝে শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে ফুলের চারা রোপন ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটছে। প্রমাণ মিলছে উন্নয়ন ও জনকল্যাণে তার আন্তরিকতার।

গত ৩০ জুন বিরামপুর পৌরসভার উন্নয়নের জন্য প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে,পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এর দিক- নির্দেশনায় পৌরবাসীর জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা ও তার সুদূর প্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। পরিকল্পিতভাবে পৌর শহরে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সবার সহযোগিতায় আগামীতে আরো সমৃদ্ধি ঘটবে। তিনি আরো বলেন, বিরামপুর বাসী আমাকে সম্মান দিয়েছেন। এ সম্মানের প্রতিদান স্বরূপ বিরামপুর শহরকে ঢেলে সাজাব। যতটুকু বিচক্ষণতা রয়েছে তার সঙ্গে নেতাদের দিকনির্দেশনা আর সুপরামর্শের ভিত্তিতে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারব বলেই আমি আশাবাদী। সেই পথচলার প্রথম ধাপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে আমি মেয়র হয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিরামপুর পৌরবাসী তাদের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবেন আমাকে।

জানতে চাইলে পৌরবাসীরা জানান, পৌর মেয়র আককাস আলী দায়িত্ব গ্রহণের পর তার কর্মতৎপরতায় পৌরবাসী বেশ খুশি। পৌর শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পৌর নাগরিকদের যে সেবা দিয়েছেন তাতে শিগগিরই বর্তমান মেয়র এর হাত ধরেই আধুনিক সেবাসমৃদ্ধ ডিজিটাল বিরামপুর পৌরসভা হবে বলে পৌরবাসীদের বিশ্বাস।