শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২২ উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে

প্রকাশিত হয়েছে-

কাজল আইচঃ- উখিয়া কক্সবাজার,

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২২ উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ০৭ মার্চ, ২০২২ইং, রোজঃ সোমবার, বিকাল ০৪.০০ ঘটিকার সময় কোটবাজার হাকিম আলী চৌধুরী কে.জি স্কুল এর হলরুমে।

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২২ উপলক্ষে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি অধ্যক্ষ শাহ আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবুল মনসুর চৌধুরী ও উক্ত আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর করির চৌধুরী।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালির জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনটির তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মির্জা ইস্কান্দর চৌধুরী। সাংগঠনিক সম্পাদক কন্ট্রাকটর ফরিদুল আলম। শ্রমবিষক সম্পাদক রিয়াজুল হক রিয়াজ। প্রচার ও প্রকাশানা সম্পদক সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল হক খাঁন। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ জাকের। আওয়ামী লীগ নেতা মাষ্টার ছৈয়দ আলম। আকবর আহমদ। লিয়াকত আলী বাবুল। আবু তাহের মেম্বার। আলী মেম্বার। আবুল কাশেম বাবুল। ইকবাল বাহার মেম্বার। আবুল ফজল মেম্বর প্রমুখ।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টা। রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সালাহ উদ্দিন। রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসহাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এ দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন।

৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ছিল : প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তা-ই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

এ ভাষণকে ৩০ অক্টোবর ২০১৭ বিশ্ব–ঐতিহ্য সম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’–এ অন্তর্ভুক্ত করেছে ।

আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে তাই ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম । অসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমিত শক্তির উৎস ছিল এই ঐতিহাসিক ভাষণ। যার আবেদন আজও অটুট রয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মেছি বলেই আজ প্রতিটা নিঃশ্বাস স্বাধীন ভাবে নিতে পারছি, মূলতঃ স্বাধীনতা আমাদের বেচেঁ থাকার অধিকার, তাই আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যুগান্তকারী সোনার বাংলা গড়তে এই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আলোকে আলোকপাত করি।