তিনি রামুর বিশিষ্ট জমিদার মরহুম সুলতান আহমদ সওদাগরের ৭ম ছেলে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। তিনি কয়েকদিন ধরে অসুস্থবোধ করছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ মেয়ে, ১ ছেলে এবং অসংখ্য ভক্ত, গুণগ্রাহী ছাত্র রেখে যান।
মাওলানা মূফতি মোরশেদুল আলম চৌধুরী বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরার সদস্য এবং কক্সবাজার জেলা তাবলীগ জামাতের আমীর (জিম্বাদার)। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ মুবাল্লীগ।
তিনি পোকখালী এমদাদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার সাবেক শায়খুল হাদীস ছিলেন। তাবলীগের জামায়াতের দাওয়াত প্রচার করতে গিয়ে তিনি বিশ্বের ৪০টিরও বেশী দেশে ভ্রমণ করেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন রামুর ঐতিহ্যবাহী ফতেখাঁরকুল অফিসেরচর ইসলামিয়া কওমিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ মাদ্রাসা জামে মসজিদেই তিনি মৃত্যুর আগেরদিন (শনিবার) তিনি পবিত্র ঈদুল আযহা এবং দু’দিন আগে পবিত্র জুমার নামাজে ইমামতি করেন। তিনি রামু ইসলামী সম্মেলন পরিষদের সভাপতি ছিলেন। উল্লেখ্য তিনি রামু চৌমুহনী বণিক সমবায় সমিতি লি. এর সভাপতি ও উখিয়া কলেজের ইংরেজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রফিকুল আলম চৌধুরীর বড় ভাই।
এছাড়া তিনি অনেক ধর্মীয়, সেবামূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার হাতে গড়া বহু এতিমখানা, মসজিদ, মকতব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তার মৃত্যুতে কক্সবাজার ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, কক্সবাজার সদর, রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল শোক প্রকাশ করেন।
আজ সোমবার (৩ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ আলেমেদ্বীনের ইন্তকালে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামে একজন আলেম ওলামার দরদী অভিভাবক হারাল।
Leave a Reply