আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযানে দীর্ঘদিন গা-ঢাকা দেয়া মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রামে ফিরতে শুরু করছে। দিন দিন কৌশল পাল্টে সীমান্ত দিয়ে আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান। সীমান্ত এলাকা টেকনাফ, হ্নীলা, হোয়াইক্ষং, বালুখালী, ঘুনধুম, নাইক্ষংছড়ি, বঙ্গেপসগর প্রবৃত্তি রুট দিয়ে প্রতিনিয়ত আসছে ইয়াবার বড় বড় চালান।
তবে কৌশল পাল্টে সেসব ইয়াবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে।
টেকনাফে ওসি প্রদীপ কান্ডের পর থেকে কার্যত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানে স্থবিরতা হয়েছিলো বলে অনেকে ধারণা করেছিল। সেসব প্রসূত ধারণাকে কবর রচণা করে গতকাল উদ্ধার হলো দেশের দ্বিতীয় বৃহত িইয়াবার চালান উদ্ধার করে কক্সবাজারের বৃহৎ মাদক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন । কক্সবাজার র্যাব-১৫ উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ ১৩ লাখ। তবে গত কয়েক বছর আগে গত ৬ই ফেব্রুয়ারী’১৫ ইংরেজী। চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় দেশের বৃহত্তম ইয়াবার চালান উদ্ধার করেছিল।নৌ-বাহীনির চোরাচালান প্রতিরোধে দায়িত্বরত সদস্যরা।
তবে গতকাল ২৩ আগস্ট রবিবার বিকাল ৫টার দিকে। এসময় ইয়াবা বহনকারী একটি মাছ শিকারের বোটসহ ২জনকে আটক করতে সক্ষম হন।
কক্সবাজার পৌরশহরের মাঝিরঘাট থেকে কক্সবাজারের সর্ব বৃহত ইয়াবার চালানটি আটক করতে সক্ষম হন।
আটককৃতরা হলো কক্সবাজার সদর থানার ঝিলংজা ইউনিয়নেরে দক্ষিণ হাজির পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে বিলাল (৪৫) ও উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৩ এইচ ব্লকের বশির আহমদ এর পুত্র আয়াজ (৩৪)।
আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আপারেশন) কর্ণেল তোফায়েল মোস্তাফা সারোয়ার এ তথ্য ব্রিফিং দেন। আটককৃত ২জনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন এ বিশাল ইয়াবার চালানটি গভীর সাগর হয়ে পাচার করার উদ্যেশ্যে বার্মা থেকে আনা হয়েছিল।
সরকারের মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা সার্বক্ষনিক মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে ।
কক্সবাজারবাসীকে মাদক সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সকলকে সহযোগীতা করার আহবান জানান।
Leave a Reply