
#UkhiyaVoice24.Com
আমরা আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে এর চাইতে চমকপ্রদ আয়োজন দেখেছি।এমন কোনো ইসলামিক গুষ্ঠি ছিলনা যারা উপস্থিত হয়নি।জালালি বক্তাদের থেকে শুরু করে জীবনেও রাজনীতি করেনি এমন আলোচকদের আলোচনা করতে দেখেছি একই মঞ্চে- কিন্তু ফলাফল কি এসেছিল?। ফলাফল এসেছিল এমন চমকপ্রদ প্রোগ্রাম শেষ করে রাতের মাহফিলে গিয়েই চরমোনাই পীরের বিরোধিতা করা।কওমীর আলেমদের ঘিরে কটুকথা বলা।আওয়ামিলীগ ও বিএনপির পক্ষে শীতলতা দেখানো। তলে তলে ইসলামী দলগুলোর গোড়ায় গরম পানি ঢালার মতো কতজন আলোচক যে এমন চমকপ্রদ প্রোগ্রামে দেখেছি তার হিসেব নেই। আওয়ামিলীগ হাটাও আন্দোলনের একমাস আগেও এমন মঞ্চ তৈরি হয়েছিল কয়েকবার। মুফতী রেজাউল করিম আবরার হাফিজাহুল্লাহ বহুবার এমন প্রোগ্রাম উপহার দিয়েছেন আমাদের।সেসব প্রোগ্রামে আওয়ামিলীগ সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে কড়া ভাষায় হুশিয়ারী দিলেও জুলাই আন্দোলনে কেবল পীর সাহেব চরমোনাই’র দল ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। একটা বৃহৎ দলের আমীর ও নায়েবে আমীর একাধিকবার রাজপথে হেটে হেটে শ্লোগান দিয়েছিল। প্রশ্ন হলো তাহলে চমকপ্রদ আয়োজিত মঞ্চে যারা গরম বক্তব্য দিয়েছিল তারা কোথায় ছিলো?
কেন মঞ্চে বলা কথাগুলো সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পীর সাহেব চরমোনাই’র দলের সাথে আন্দোলনে যোগ দিলনা?
উত্তর আছে কি?। আপনি যদি রাজনীতি বুঝে থাকেন এবং রাজনীতির গভীরে গিয়ে থাকেন তাহলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে ইসলামপন্থীদের রাজনৈতিক দৌড় ১০০ থেকে মাত্র ১০ এ এসে পৌঁছাতে পেরেছে।বাকি নব্বই পার্সেন্ট এখন বিএনপি আওয়ামিলীগ অথবা অন্যান্য দলগুলোর হাতে আছে। আপনি মানেন অথবা না মানেন, একটা মহাসমাবেশ দিয়ে দলের উপস্থিতি নির্ণয় করা গেলেও রাজনৈতিক দৌড় কতদূর পৌঁছেছে তা নির্ণয় করা একেবারেই অসম্ভব। এই-যে জমিয়তের দলের অবস্থা দেখছেন না! নামে আর বক্তাদের জনপ্রিয়তায় এ দলটাকে কে না চিনে?। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম! নামটার অর্থ বুঝেন নিশ্চয়ই!। অথচ আগাগোড়া আর কোথায় গিয়ে ঠেকেছে?। অথচ রাতের আধারে জেনারেটরের আলোতে এরাই আবার আখেরাতের বয়ান করে। ইনসাফের বয়ান করে। #ঐক্যের বিষয়ে গলাফাটায়। আবার অনেকেই এই দলের লাল দাড়িওয়ালা মুরুব্বীদের কাছে পেলে কাবার গিলাফ ধরার মতো আঁকড়ে ধরে তোলামোশা করে। উপরে কি বলছিলাম মনে আছে?। ইসলামপন্থীদের রাজনৈতিক দৌড় ১০০ থেকে ১০ এ। কারণ এটাই! ইসলামপন্থীদের বারোটা বাজিয়েছে তথাকথিত লেবাসধারী মৌ-লোভীরা। যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় অসম্মানের সহিত লেখা থাকবে ইনশাআল্লাহ। পরিশেষে মুফতী রেজাউল করীম আবরার হাফিজাহুল্লাহ’র এমন প্রচেষ্টাগুলোকে সাধুবাদ জানাই। চেষ্টার দ্বারা আল্লাহ সফলতা। সেই সফলতা যেন আমরা দেখে যেতে পারি ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply