কলাপাড়ায় দ্বিতীয় দিনে ঢিলে ঢালা ভাবে লকডাউন পালিত

এইচ এম সাইফুল নূর, কলাপাড়া, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

করোনা ভাইরাসের আক্রমণ উল্লেখ যোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ার কারনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পৌরশহরে ঢিলে ঢালা ভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে। সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দোকানীরা বেচা বিক্রি করেছেন।

সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ৬ ই এপ্রিল মঙ্গলবার পৌর শহরের ব্যস্ততম মার্কেট নতুন বাজারের কাপড়িয়া পট্টি, স্বর্নকার পট্রির বিপনি-বিতান গুলো সিমিত পরিসরে খোলা রেখে অনেক ব্যাবসায়ী বেচাকেনা করেছেন। সাপ্তাহিক বাজারের দিন বলে ক্রেতা,বিক্রেতাদের কোলাহলে সামান্য তম মুখরিত হলেও কোন ধরনের সরগরম চোখে পরেনি। রাস্তায় সামান্য কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজনের তাগিদে অনেকেই রাস্তায় বের হলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরিধান করে বের হতে হয়েছে, না হলে পরতে হচ্ছে পুলিশি ঝামেলায়। পুলিশ প্রশাষন এবার শক্ত অবস্থানে রয়েছে নিয়মের পরিপন্থী হলেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। তাই তাদের পক্ষ থেকে বার, বার বোঝানো হচ্ছে অপ্রয়োজনে বাহিরে ঘোরাফেরা না করার জন্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী কাঁচাবাজার,মুদিপন্যের চাহিদা মিটানোর জন্য সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দোকান খোলা ছিল। পুলিশ প্রশাষন সারাদিন ব্যাপি মাঠে তৎপর ছিল। কোন ধরনের লোকসমাগম তৈরী হতে দেয়নি। এদিকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান খোলা রাখার জন্য কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে গায়ে কাপনের কাপড় বেঁধে মানব বন্ধন করেছে ব্যাবসায়ী সমিতির নেতারা, তাদের দাবি স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান খুলে ব্যাবসা পরিচালনা করতে চান তারা। কারন গত বৎসরের লাগাতার লকডাউনের কারনে তারা প্রচন্ড পরিমানে অর্থনৈতিক পিছিয়ে পরেছেন এর কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন লোনের বোঝা। তাদের দোকান বন্ধ থাকলেও সরকারী, বেসরকারী এবং এনজিওর কিস্তি বন্ধ থাকেনা লোনের সুদের হারও কমেনা ফলে তারা মারাত্বক পরিমানে ক্ষতির সম্মুখীন হন। তাই এবারের লকডাউনে তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবিতে মানব বন্ধন করেছেন।

পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়ে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *