বুধবার , ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কালামার ছড়া উচ্ছেদ অভিযানের পরে আকাশের নিছে বসবাস করে ২শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত হয়েছে-

কালামার ছড়া উচ্ছেদ অভিযানের পরে আকাশের নিছে বসবাস করে ২শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

কক্সবাজার মহেশখালী কালামার ছড়া ইউনিয়নে ৫ নাম্বার ওয়ার্ডে এক অসহায় পরিবার কে বাড়ি ভিটা উচ্ছেদ করে অত্র ইপি চেয়ারম্যান সহ উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণে গত ২৩ মার্চ প্রশাসন মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের সোনাপাড়ার বাসিন্দা ভূমিহীন নুরুল আমিনের পরিবারকে উচ্ছেদ করে। তার বসত গুঁড়িয়ে দেয়।
এরপর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বসবাস শুরু করেন। এমন পরিবেশে নুরুল আমিনের ছেলে সুজনের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রোমা আক্তার (২৫) এবং তার মেয়ে কহিনুর আক্তারের তিন মাসের শিশু প্রিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরিবারটির অভিযোগ, খোলা আকাশের নিচে বসবাসের কারণে অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ ও তিন মাসের শিশুটি ঠান্ডা ও বাতাসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সোমবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৩টার দিকে ঠান্ডাজনিত কারণে নিউমোনিয়া হয়ে তিন মাসের শিশু প্রিয়ার মৃত্যু হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে। অপর দিকে ভোরে বদরখালী একটি হাসপাতালে মৃত সন্তান প্রসব করেন রুমা আক্তার।

দুই নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম।

সন্তানের মৃতদেহ বুকে নিয়ে কহিনুর আক্তার বলেন, প্রশাসন উচ্ছেদ করার পর পলিথিনের ছাউনি দিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে থাকতে নিউমোনিয়া হয়ে আমার বাচ্চা মারা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, প্রশাসন নোটিশ দিলেও পরিবারটি তাদের বসত ভিটা ছেড়ে যায়নি। পরে প্রশাসন উচ্ছেদ করতে এলে একদিন আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপর বুলডোজার দিয়ে তাদের ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের যাওয়া আর কোনো জায়গা ছিল না। তারা খোলা আকাশের নিচে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বসবাস করছে। উক্ত পরিবেশে মানুষ বসবাস করতে পারে না। যার কারণে পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন বলেন, তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাদ্দে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের জন্য ঘর দ্রুত তৈরি হচ্ছে। উক্ত পরিবারের পাশাপাশি আরো কয়েকটি ভূমিহীন পরিবার ঘর পাবে।
তবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।