বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কেইস পাটনার বেশির ভাগ মুক্তি পেলেও হতভাগা এক পরিবারের দুই সন্তানের আজও মুক্তি মিলল না

প্রকাশিত হয়েছে-

নিজস্ব প্রতিবেদক,

বাঁশখালী পৌরসভার সম্ভ্রান্ত পরিবারের দুই সন্তান মাওলানা মোবারক হোসাইন আসিফ ও তার ছোট ভাই মঈনুল হাসান হাবিব এর জামিন মিললো না এখনো। তারা দুই জনই পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি, তাদের বন্দী হওয়ার পর বৃদ্ধ মা-বাবা স্ত্রী সন্তানের অবস্থা খুবই শোচনীয়।

ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা মোবারক হোসাইন আসিফ এক ছেলে এক মেয়ে সন্তানের বাবা। তার সন্তানদের মুখে শুনা যায়:- আমরা শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে বলি বাবাকে যেন আমরা দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে পায়। এমনকি তার ছেলে বলে মোঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক বলে :- একবার রাতে বাবা এসে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে দেয়। আমি প্রথমে বাবাকে জড়িয়ে ধরি তারপর বাবা বলে, আব্বু আমি এখন চলে যায়। ছেলে বলল! আমি যেতে না দিলেও জোরপূর্বক আমাকে ছেড়ে চলে যায় বাবা। মেয়ে বলে, আমার সারারাত ঘুম আসেনা বাবাকে ছাড়া।

গত ১৩ ই অক্টোবর ২০২১ ইং বুধবার কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনার পর বাঁশখালী জলদীতে সংঘটিত মিছিল ও সংখ্যালঘুর বসতবাড়িতে হামলার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হলেও তিনি বলেন আমি নির্দোষ। তার পরিবারে পাঠানো চিঠিতে এবং তার কেইস পাটনার দের তিনি বলেন! জলদি মিয়ার চৌধুরী মার্কেটর ২য় তালায় আমার এবং ছোট ভাইয়ের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। আমার দোকানে কাজ করি, বুধবার রাত প্রায় ৯ টার সময় হঠাৎ করে এক বিশাল মিছিলের স্লোগান শুনা যায়, আমি দোকান থেকে বের হয়ে দেখলাম পরিস্থিতি খুবই খারাপ, তৌহিদী জনতা বেশি উত্তজিত। নিচে গিয়ে দেখি মিছিল টা কোন দলীয় নয় আমজনতার। আমাকে সবাই চিনে হিসেবে এক পুলিশ অফিসার আমাকে বলে, আপনি একটু মিছিল কারীদের শান্ত করুন। তাদের অনুরুধ রাখার জন্য আমি একটা ট্রাকে উঠে মুসল্লীদের শান্ত হওয়ার জন্য আহ্বান করে তাদের দাবী পুলিশ অফিসারকে উপস্থাপন করলাম, অফিসার মুসল্লীদের দাবী মেনে নিলে সবাই অফিসারের উপস্থিতিতে মিছিল শেষে করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়।

মিছিলের ৩ দিন পর ১৭ ই অক্টোবর ২১ ইং রবিবার রাত ১০ টার সময় দোকান বন্ধ করার মুহুর্তে সিভিল ড্রেস পরিহিতা কয়েকজন পুলিশ অফিসার এসে বলে, হুজুর আপনাকে ওসি স্যারে ডাকেছে বলে নিয়ে যায় থানায়। থানায় যাওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত স্যারের সাথে দেখাও হয় নাই কথা ও হয় নাই। তিনি পরিশেষে দেশবাসির কাছে দোয়া চাইলেন যেন দ্রুত আল্লাহ তায়ালা এই অপরাধীর শহর থেকে মুক্ত করেন।