কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় সামান্য কথাকাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে মোর্শেদ কামাল হত্যার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি কফিল উদ্দিনকে (১৫) রামু জোয়ারিয়ানালা থেকে জনতার সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভোর রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের জোয়ারিয়ানালা থেকে স্থানীয় জনতা ধরে সকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ এবং ঝিলংজার চেয়ারম্যানের কাছে খবর দেয়। পরবর্তীতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে পুলিশ এসে স্থানীয় লোকজনের হাত থেকে মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান।
গ্রেফতারকৃত কফিল উদ্দিন ঝিলংজার ৮ নং ওয়ার্ডের খরুলিয়ার কোনারপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ফরিদের ছেলে। ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, খরুলিয়ার আলোচিত মোর্শেদ কামাল হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী কফিল উদ্দিন গভীর রাতে চট্রগ্রাম থেকে ট্রাকযোগে কক্সবাজার আসার এমন খবর পাই স্থানীয় ট্রাক চালক নুরুল আজিম।
এসময় আজিমসহ আরোও কয়েকজন যুবক মহাসড়কের জোয়ারিয়ানালা থেকে তাকে ধরে খরুলিয়া বাজারে নিয়ে আসেন বলে খবর পাই। পরে সদর থানার ওসি শেখ মুনিরুল গীয়াসকে ফোন দিলে এস আই ফরিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটস্থলে আসলে হত্যা মামলার প্রধান আসামী কফিলকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বিকেলে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকার ছলিমের দোকানের সামনে কফিল উদ্দিন ও মোর্শেদ কামালের মধ্যে ঠাট্টার ছলে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় একে অন্যজনকে তিরস্কার করেন। এই সামান্য বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মোর্শেদ কামালের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কফিল উদ্দীন। এতে মোর্শেদ গুরুতর জখম হন।
দ্রুত তাকে উদ্ধার করে লিংকরোডস্থ মেরিন সিটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেয়ার পথে ডুলাহাজারা পর্যন্ত গেলে গাড়িতে মোর্শেদ কামালের মৃত্যু হয়। নিহত মোর্শেদ ঘাটপাড়া এলাকার সৈয়দ আলমের পুত্র। এ ঘটনায় নিহত মোর্শেদ কামালের মা মোস্তফা বেগম বাদী হয়ে কফিল উদ্দিনকে প্রধানসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন
Leave a Reply