বিরামপুরে বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তা-ঘাটে পা রাখলেই চোখে পড়ে বাগান, বসতবাড়ি ও রাস্তার লিচু গাছগুলোতে মুকুলের সমাহার। যেন অগুনতি সোনারাঙা নাকফুলের ছড়াছড়ি। সেই মুকুল আবার সুবাস ছড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে। প্রতিটি লিচু গাছ ভরে গেছে ফুলে ফুলে।
বিরামপুরের পলাশবাড়ী গ্রামের লিচু বাগান মালিক মাহফুজ বলেন, তিন বিঘাতে আমার লিচু বাগান। প্রতি বছর আমার বাগান থেকে অনেক লিচুর ফলন পেয়ে থাকি। আমার বাগানে চায়না থ্রি ও বোম্বে জাতের লিচুর গাছ আছে। প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত মুকুল ধরেছে। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্প্রে ব্যবহার শুরু করেছি। আশা করছি গত বছরের চেয়ে এবারের লিচুর বাম্পার ফলন পাবো।এই উপজেলার প্রতিটি গ্রাম লিচুর রাজ্যে পরিণত হতে যাচ্ছে। যে দিকে তাকাই সেদিকে গাছে গাছে শুধু দৃশ্যমান লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।
উপজেলার শিমুলতলী মির্জাপুর গ্রামের আরিফুর রহমান লিচু বাগান মালিক বলেন, তিন বিঘাতে আমার লিচু বাগান। প্রতি বছর আমার বাগান থেকে অনেক লিচুর ফলন পেয়ে থাকি। আমার বাগানে চায়না থ্রি ও বোম্বে জাতের লিচুর গাছ আছে। প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত মুকুল ধরেছে। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্প্রে ব্যবহার শুরু করেছি।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) নিকচন চন্দ্র পাল বলেন, এবারে উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হচ্ছে, এতে প্রায় ২৮০. টি বাগান হয়েছে। এছাড়াও বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট সহ বিভিন্ন স্থানে লিচুর গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর লিচুর মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতিটি গাছে লিচুর প্রচুর ফলন আসবে।
Leave a Reply