বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

গাবতলীতে বাল্যবিাবাহ ও যৌতুক বিষয়ে দুইদিন ব্যাপি সচেতনতামূলক প্রশিক্ষন কর্মশালা শুরু

প্রকাশিত হয়েছে-

রাকিব মাহমুদ ডাবলুঃ- গাবতলী বগুড়া প্রতিনিধি,

গাবতলীতে দুই দিনব্যাপি , বাল্যবিাবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধে বাল্যবিবাহ আইন ( ২০১৭ সংশোধিত ) যৌতুক আইনের আলোকে সচেতনতামুলক প্রশিক্ষন সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রওনক জাহানের সভাপতিত্বে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায়, উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প , স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো – অপারেশন এজেন্সি ( জাইকা ) আয়োজনে , উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হলরুমে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষন শুরু হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মুক্তা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ রেকসেনা আকতার, গাবতরী মডেল থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) জামিরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অলিফা খাতুন , ইউডিএফ জিয়াউর রহমান, চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মন্ডল, শহীদুল ইসলাম বাবু, আব্দুল মজিদ মন্ডল, ইউনুছ আলী ফকির, রফিকুল ইসলাম, শাহীদুল কবীর টনি, রেজ্জাকুল আমিন রোকন তালুকদারসহ আরো অনেকেই।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান তার বক্তব্যে বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ মতে, কেউ যদি মেয়ের অভিভাবক বাল্যবিবাহ চুক্তি করেন, তাহলে ২ বছর বা ৬ মাস কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করতে হবে। এ আইনগুলোকে সাধারণ মানুষের দৌড়-গোঁড়ায় পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে । গ্রামে-গঞ্জে, গণমাধ্যমে, বিদ্যালয়ে সর্বত্র বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া জরুরি। এর মধ্যে বাল্যবিবাহ অগ্রাধিকারযোগ্য। কিশোরীরা যাতে নিজেরাই নিজেদের বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পারে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে, সে লক্ষ্যে কিশোরীদের ক্ষমতায়িত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে সরকার

তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, যেহেতু সামাজিক লিঙ্গ বৈষম্য আমাদের সবার তৈরি সেহেতু আমরা ছেলে ও মেয়ের, নারী ও পুরুষের একটি নতুন সংজ্ঞা দিতে পারি। আমরা যদি চাই তবে তা পরিবর্তন করতে পারি। আমরা এমন এক সমাজ তৈরি করতে পারি, যেখানে মেয়ে মানেই অসহায় দুর্বল নয়, আর ছেলে মানেই কঠোর, উদ্ধত আদেশকারী ও নির্যাতনকারী নয়।