শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ অনার্স এর কথা

প্রকাশিত হয়েছে-

নিজস্ব প্রতিনিধি।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ সিকদারকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জনাব মুজিবুর রহমানকে হুকুমের আসামি করায় ঘটনায় (উস্কানিদাতা হিসেবে) আমাকে দায়ী করে তিনি গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য এবং অত্যন্ত দুঃখজনক।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি বিএ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের কর্মী,ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। এধরনের ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতি করার মতো সময়ও আমার নেই। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন এবং দলকে সুসংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত।

আমার নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া-পেকুয়ায় দীর্ঘ ৪৩ বছর আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ছিলেন না। ফলে উপযুক্ত জনপ্রতিনিধির অভাবে আমার নির্বাচনী এলাকা দীর্ঘকাল যাবত সুষম উন্নয়ন হতে বঞ্চিত হয়েছে। তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই এলাকার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেয়া গুরুদায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিব ভাইয়ের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই, থাকার কথাও না। কারণ কক্সবাজার পৌরসভা/ সদর আসনে আমার ভোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া উনার সাথে কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো নূন্যতম আগ্রহও আমার অবশিষ্ট নেই। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার প্রশ্নই আসে না।

কিছুদিন আগে জেলা আওয়ামী লীগের অগণতান্ত্রিক একটি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অত্যন্ত বিচক্ষণ, চৌকষ ও গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের ফলে সুন্দর পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে লিপ্ত রয়েছে।

আমার দৃঢ বিশ্বাস তিনি কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন ডাহা মিথ্যা মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ একজন সাংসদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের একজন সহ-সভাপতির প্ররোচনায় তিনি ইতিপূর্বেও বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর এই ‘সন্ধ্যাকালীন বন্ধুগণ’ আমার সাথে তাঁকে মুখামুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ার অপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।

দূর্বৃত্তরা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে কী বলে গুলি করেছে স্বয়ং মোনাফ সিকদার মৃত্যু শয্যা হতে ডায়িং ডিক্লারেশনের মতো করে তা বলেছেন- যা ফেসবুক মারফত জেলাবাসী দেখেছে।এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। গোয়েন্দা সূত্রে সত্য ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ সিকদারকে হত্যা চেষ্টা মামলার উস্কানিদাতা হিসেবে আমাকে জড়িয়ে মুজিব ভাইয়ের বক্তব্যে আমি বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। এ ধরনের বক্তব্য উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর শামিল। এই কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে, ভুল-ভ্রান্তি শুধরে ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।

এধরনের অসত্য বক্তব্য কারো জন্য হিতকর নয় বরং মানহানিকর। পরবর্তীতে এমন ডাহা মিথ্যা, মানহানিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জয় বাংলা | জয় বঙ্গবন্ধু
শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।

-জাফর আলম
সংসদ সদস্য, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া)
সভাপতি, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।