বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি নির্যাতনের অভিযোগ, জেল সুপারের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত হয়েছে-

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

 

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রূপম কান্তি নাথ নামের এক বন্দিকে বৈদ্যুতিক শক এবং বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে জেল সুপার, জেলারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রূপম কান্তি নাথের স্ত্রী ঝর্ণা রানী দেবনাথ।

সোমবার (০১ মার্চ ২১) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
মামলায় সাতকানিয়া উপজেলার মৌলবীর দোকান এলাকার রতন ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, জেলার ও জেলখানায় কর্তব্যরত সহকারী সার্জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আরও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামিও করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী ভুলন লাল ভৌমিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের স্ত্রী নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৩ (১) (২) এর (ক) (খ) (গ) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন এবং আদেশের জন্য রেখেছেন। মঙ্গলবার (আজ) আদেশ হতে পারে।

মামলার এজহারে বাদী ঝর্ণা রানী দেবনাথ উল্লেখ করেন, এজাহারভুক্ত আসামি রতন ভট্টাচার্যের সাথে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি মামলায় (জিআর মামলা নং ৩৩২/১৮) গত ১৫ ডিসেম্বর কারাগারে যান ভুক্তভোগী রূপম কান্তি দেবনাথ।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদিনির স্বামী ও বন্দি রূপম কান্তি নাথকে অন্যায়ভাবে বিচারাধীন মামলায় নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি আদায় করার জন্য এবং মানসিকভাবে স্থায়ীভাবে ভারসাম্যহীন করার জন্য শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিষাক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য পুশ ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করেছেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্যাতনের খবর পেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বন্দি রূপম কান্তি নাথকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার বাদী ঝর্ণা রানী দেবনাথ। সেসময় আদালত আবেদনটি মঞ্জুরও করেন। অন্যদিকে আসামিরা নিজেদের অপরাধ থেকে রক্ষা পেতে রূপম কান্তি নাথকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেল সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, “মামলা হয়েছে শুনেছি। তবে আদেশ হয়নি। আদেশ কি হয় দেখে পরবর্তী যা করণীয় তা আইনিভাবে মোকাবেলা করবো।”