শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

চামড়া শিল্প রক্ষায় স্বার্থান্বেষী সকল সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে-ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর

প্রকাশিত হয়েছে-

 

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

দেশে গবাদি পশুর প্রাচুর্য। পশু উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য এই দেশ। প্রতি বছর কুরবানীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কুরবানী দেওয়া হয়। তারপরও সিন্ডিকেটের কারনে দেশের চামড়া শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর জন্য এই দেশের সকল স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে।

অদ্য (১৮ জুলাই’২১) রোজ রবিবার বিকাল ৫ টায় দেওয়ানহাট চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে “দেশের সম্মৃদ্ধি অর্জনে ও চামড়া শিল্প রক্ষায় সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর দাবীতে” আয়োজিত এক মানববন্ধনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের নেতৃবৃন্দ এমন মন্তব্য করেন।

ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান রবিন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে শাখার সহ-সভাপতি মুহাম্মদ তানভির হোসাইন বলেন,
১৯৪০ সাল থেকে শুরু হওয়া চামড়াজাত দ্রব্যের চাহিদা একবিংশ শতাব্দীতে ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি একটি রপ্তানিমূখী শিল্প; যেখানে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান হয়। দেশের বেকারত্ব কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মধ্যদিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে চামড়া শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। দৈনিক যুগান্তর এর প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৩-১৪ সালে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আয় হয় ১২৫৮ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। পরবর্তী তিন অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল যথাক্রমে ১১৩০, ১১৬১ ও ১২৩৪ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল ১০১৯ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার। ২০১৩ সালের পূর্বে চামড়াজাত দ্রব্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেলেও এর পর থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছর পর্যন্ত এর আয় কমে যায়। যার মূল কারণ হলো চামড়া শিল্পকে নিয়ে সরকারের তালবাহানা ও স্বার্থন্বেষী ব্যবসায়ীশ্রেনীর সিন্ডিকেট। প্রতিবছর কোরবানি আসলে তারাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পশুর চামড়ার দাম কমিয়ে তাদের মুনাফার পাল্লা ভারি করে। বিনিময়ে তারা দেশের চামড়া শিল্প উন্নয়নের জন্য কাজ না করে অন্যদেশে পাচার করে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাজারে চামড়াজাত দ্রব্যের ব্যাপক চাহিদা ও বাংলাদেশে এর পর্যাপ্ত কাঁচামাল থাকা সত্বেও এই দেশের পন্য বিশ্ববাজারে টিকতে পারছে না। বিশ্বমানের পন্য তৈরী ও পন্যের বৈচিত্র্য আনায়নে সরকারের নেই কোন কার্যকরী উদ্যোগ। সরকার বারংবার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়ে চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে নিয়ে গেছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের দেশ থেকে চামড়া ক্রয় করে তাদের দেশে চামড়াজাত দ্রব্য উৎপাদন করে তাদের রপ্তানি আয় দিনদিন বৃদ্ধি করে চলছে। যেটা আমাদের দেশেও সম্ভব ছিলো। আমাদের বক্তব্য হলো চামড়া শিল্পকে কাজে লাগিয়ে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এ সুযোগকে আর হাতছাড়া করা যাবে না। তাই সকল সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
একই মানববন্ধনে তিনি আরও বলেন, “সিআরবির শিরীষতলা, নগরবাসীর কাছে ফুসফুসের সমতুল্য। আমরা পরিবেশের ক্ষতি করে কোন হাসপাতাল চাই না। বিকল্প কোন স্থানে হাসপাতাল স্থাপনের দাবী জানাই।”

উক্ত মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইশা ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শাজাহান হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ সহ অন্যান্য নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ।