ছনুয়ায় নকল সোনা বিক্রিকারী মানিক হাতিয়ে নিল ১৫ লক্ষ টাকা

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নশ্যা বাপের বাড়ীর কালায়ার ছেলে মানিক, সুদীর্ঘ একযোগ ধরে চালিয়া আসছে নকল
সোনা বিক্রি,সহস সরল মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা, তার একটি বিশাল দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে সারাদেশে, এই দালাল চক্রটি বিভিন্ন জেলা থেকে আসল সোনা বিক্রির নাম দিয়ে বা একবুড়ির পাওয়া ধন সেই সোনা বিক্রি করবে বলে ছনুয়াতে এই সোনা মানিকের এলাকায় এনে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।

এই নকল সোনা বিক্রিকারী ডাকাত মানিকের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় রয়েছে ডজন খানেক মামলা তৎমধ্যে, ডাকাতি, অস্ত্র মামলা , ইয়াবাবিক্রি, নারী নির্যাতন।এই ছাড়া নকল সোনা বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে,
এই নকল সোনা বিক্রিকারী সোনা মানিক্ক্যার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ছনুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা, তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন, কেউ যদি প্রশাসনের কাছে যায় তাকে ধরে নিয়ে অস্ত্র এবং ইয়াবা দিয়ে ছবি তুলে ফাঁশিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তার পিতা কালাইয়া হচ্ছে সকল কুকর্ম ও প্রতারণার নাটের গুরু, এই কালাইয়া দাবার গুটি চালিয়ে যাচ্ছে এই সোনা মানিকের অপরাধ কার্যক্রম।।

এই দিকে নকল সোনা
বিক্রিকারী ডাকাত
মানিকের সেকেন্ড ইন কমান্ড আরেক নকল সোনা বিক্রিকারী মাপিয়া নুরুল কাদের কিছুদিন আগে পটিয়া থানা এলাকার এক সোনার দোকানদারকে ছনুয়াতে এনে প্রতারণার জালে আটক করে হাতিয়ে নিয়েছে ১৭ লক্ষ টাকা, সেই পটিয়ার ব্যাবসায়ী বাদী হয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে সেই মামলায় গ্রেফতার হয় নকল সোনা বিক্রিকারী নুরুল কাদের।

বাঁশখালী তথা ছনুয়া ইউনিয়নের নিরীহ জনসাধারণের দাবী এই নকল সোনা বিক্রিকারী ডাকাত বাঁশখালী থানার একাধিক মামলার আসামি জলদস্যু, সোনা মানিককে আইনের আওতায় এনে কটিন শাস্তি দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকারবাসী।

এইদিকে বাঁশখালী থানার অফিসার্স ইনসার্স মু.রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ছনুয়ার নকল সোনা বিক্রিকারী নুরুল কাদের নামের একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি, বাকী নকল সোনা বিক্রিকারী মানিককেও গ্রেফতারের জন্যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *