শনিবার , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন-মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী

প্রকাশিত হয়েছে-

 

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেছেন, ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। করোনার কারণে নয় বরং জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।তিনি বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চললেও শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতিকে মেধাহীন করার চক্রান্ত চলছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাটবাজার, কলকারখানা, গণপরিবহন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ সবকিছু খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? তিনি অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।

আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর ২১) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী চত্বরে সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারী আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল্লাহ তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে

বক্তব্য রাখেন জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আতাউল্লাহ ইসলামাবাদী, মাওলানা আবদুল আলিম,জেলা আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আরিফ উদ্দিন,
জেলা সহকারী প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর ইসলামাবাদী,মাওলানা এস এম ফয়জুল্লাহ সহ-সভাপতি ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা,মোহাম্মদ মারুফুর রহমান সহ-সভাপতি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক কবি নুর আহমেদ সিদ্দিকী, মাওলানা মোহাম্মদ আব্বাসউদ্দীনসহ প্রমুখ।

মুফতি দেলোয়ার হোসেন সাকী বলেন, বিশ্বের যে সকল দেশে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সে দেশগুলোতেও ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অধিকাংশ জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও বিশেষজ্ঞগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কোন কর্ণপাত করছে না। তিনি বলেন, দেশের অভিভাবকগণও আমাদের কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। এখন দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা রাজপথে নেমে এসেছি। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে পর্যায়ক্রমে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা সগির আহমদ চৌধুরী বলেন, করোনায় যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন সরকার জোর করে দেশ চালানোর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়, ভোট ডাকাতি ও রাতের আধারে ভোট চুরির সরকার। তিনি জাতিকে ধ্বংসের হাত থলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মানবসম্পদ ধ্বংস করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তিনি অবিলম্বে কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া দাবি জানান।

জেলা সেক্রেটারি এইচ এম রুহুল্লাহ তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যে বুঝা যায়, সরকার করোনার জন্য নয়, বরং আন্দোলনের ভয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। সরকার ক্ষমতার স্বার্থে যা করার তাই করছে।