শনিবার , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলে অসঙ্গতি,ক্ষোভে ফুসছে শিক্ষার্থীরা-নুর আহমেদ সিদ্দিকী

প্রকাশিত হয়েছে-

 

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

গত (২০ জুলাই২১) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষ ২০১৯ এর ফলাফল প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকাশিত ফলাফলে পাশের হার দেখানো হয়েছে ৭২ শতাংশ। এই ফলাফলে অসঙ্গতি আছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না হওয়ায় ক্ষোভে ফুসছে তারা।চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের সাথে আজ (২৭ জুলাই ২১) মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন কলেজের ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা গেছে একটি ডিপার্টমেন্টে ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন একই বিষয়ে ফেল করেছে। চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজ থেকে পাস করা জাহেদুল ইসলাম জানান,
তাদের ডিপার্টমেন্টে মাত্র ৪৫ জন ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে ২১ জন ছাত্র ছাত্রী একই বিষয়ে ফেল করার কোন মানে হতে পারেনা। যাদের ফেল দেখানো হয়েছে তাদের মধ্যে ভালো ছাত্র ছাত্রীও রয়েছে।নিশ্চয়ই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ফলাফলে অসঙ্গতি রয়েছে।

একই কলেজের শিক্ষার্থী জহিরুল বলেন,আমি অবশ্যই বোর্ড চ্যালেঞ্জ করবো।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অসঙ্গতি কখনো মানা যায়না।আজ আমাদের মন ভালো নেই।কেন শিক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ করা হয়েছে?২০২০ সালে মার্চের ৩০ তারিখ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার অজুহাতে পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।দেড় বছর পর ফলাফল প্রকাশ করেছে তাতেও অসঙ্গতি এবং মাত্রাতিরিক্ত ফেল আমাদের ডিপ্রেশনে ফেলে দিয়েছে।উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় আচরণ করা।

চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্র ফরিদুল করিম জানান,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলে সে সন্তুষ্ট নয়।আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় সে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্র ইমাম হোসেন জানায়,সে চার বছরে কোন সাবজেক্টে ফেল করেনি।অথচ সম্প্রতি প্রকাশিত ফলাফলে তাকে মনোদর্শন বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছে।সে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আদৌ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে কিনা সন্দেহ থেকে যায়।সে অবশ্যই বোর্ড কে চ্যালেঞ্জ করবে বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান দায় নিতে নারাজ।তিনি বলেন,পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা আর পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেছে শিক্ষকরা।উপস্থিত থাকার পরও যদি ফেল আসে তাহলে খতিয়ে দেখা হবে।তিনি আরো জানান,ফলাফলে কোন অসঙ্গতি থাকলে তা পুনঃনিরক্ষণের জন্য ২৯জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে ২১ আগস্ট শনিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।