শুক্রবার , ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল || ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সীরত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধনে কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমেদ

প্রকাশিত হয়েছে-

নিউজ ডেস্কঃ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গুনেধরা রাষ্ট্র সংস্কারে প্রয়োজন মহানবীর সীরাতের বাস্তবায়ন। সমাজে বিদ্যমান, অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুনসহ সকল অন্যায় অবিচার থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ইসলাম। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ জুলুমের শিকার হবে না, দিনের ভোট রাতে হবে না, সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষের পকেট কাটা হবে না। রাতারাতি কেউ আঙুল ফুলে কলা গাছ বনবে না।

তিনি আরও বলেন, আজ আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। দেশ-বিদেশের কোথাও তাদের ঠাই হয়নি।

অদ্য ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ বুধবার বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে একটি অনুপম আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষে আগামী ২৭ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সীরাত সম্মেলনকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ লিখন, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, সীরাত ক্যাম্পেইন, বিশ্বজয়ী হাফেজ কারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। দেশব্যাপী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিরোধী দলের সভা সমাবেশে গণমানুষের উপচেপড়া ভীর ও সরব উপস্থিতি প্রমাণ করে জনগণ আর এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করি। অবিলম্বে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। জাতীয় সরকারের অধীনেই আগামি নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে এদেশের মানুষ দেবে না। আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি আসবে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আমরা সেই কর্মসূচি পালন করতে বদ্ধপরিকর।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, নগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মুফতি আবদুল আহাদ, মাওলানা কারী মাসউদুর রহমান, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, হাফেজ মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ, মাওলানা আল আমীন সোহাগ, মুফতী আমির হোসাইন, মুহাম্মাদ ইউসুফ পিয়াস প্রমুখ।