কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ফরাজী পাড়া থেকে কমরু আক্তর নামের এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১২ এপ্রিল বুধবার দুপুরে বসতবাড়ির ওয়াশরুমের টিন কেটে তাকে উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে লাশটি লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে গ্রামের বাড়িতে নিহতের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় কমরুর বাবা
মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ঈদগাঁও থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এতে মৃত আবছার আলী মাস্টারের ছেলে মোহাম্মদ আলী প্রকাশ ভুট্টো সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে। অন্য আসামীরা হচ্ছে নিহতের স্বামী মোহাম্মদ আলী প্রকাশ ভুট্টাে, দেবর মাহমুদ কামাল প্রকাশ মাহমুদ, শাশুড়ী মনোয়ারা বেগম।
এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ২৬/০২/২২ ইং তারিখে উপরোক্ত ১নং বিবাদীর সাথে রেজিস্ট্রার কাবিননামা মূলে কমরু আক্তার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর হতে তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসিতেছে।
যৌতুক দাবি করিয়া আসিতেছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা তাকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য আমার বাড়ীতে পাঠাইয়া দেয়। পরে ফোন করে বিবাদীদের বাড়ীতে নিয়ে আসে। আমার মেয়ে আসার সময় আমি তার হাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করি।
তবে বিবাদীদের ধার্যকৃত দুই লক্ষ টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে প্রাণে শেষ করিবে মর্মে হুমকি দিয়েছিল। আমাদের সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ এপ্রিল
আমার মেয়েকে প্রাণে হত্যা করেছে। ঘটনার একই তারিখ অনুমান বিকালে ফোন করে জানায় যে, আমার মেয়ে কমরু আক্তার তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্ম হত্যা করেছে।
ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, প্রতিবেদন না দেয়ার আগে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।
কমরুর বাবা জানান, আমার মেয়ে মৃত্যুর জন্য ওরা তিন জন দায়ী। তাই ওই তিন জনকে আসামী করে তিনি থানায় এজাহার দিয়েছেন।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি গোলাম কবির জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত কামরুর বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজহার জমা দিয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply