মঙ্গলবার , ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ৯ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

টেকনাফে ঈদের দিনে সাংবাদিক এম এ হাসানের উপর শীর্ষ মানবপাচারকারী আব্দুল আলীর হামলা: থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে-

ইব্রাহীম মাহমুদ,

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড, নোয়াখালী পাড়া এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে শীর্ষ মানব পাচারকারী আবদুল আলী ও তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীরা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম টেকনাফ উপজেলা শাখার (বিএমএসএফ) এর কোষাধ্যক্ষ
ও উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরাম (উখিয়া-টেকনাফ) এর সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক গণকন্ঠ টেকনাফ প্রতিনিধি ও দৈনিক রূপালী সৈকতের স্টাফ রিপোর্ট
সাংবাদিক এম এ হাসান এর উপর পরিকল্পিত ভাবে অতর্কিত হামলা ও গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছে।

গেল- ০৩ মে (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ গ্রাম ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড নোয়াখালী পাড়া এলাকার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে শীর্ষ মানবপাচারকারীরা গতিরোধ করে একাধীক মামলার আসামী আব্দুল আলী (৫০) ও তার লালিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে অবৈধ দেশীয় অস্ত্র,দা, কিরিচ নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়েছে সাংবাদিক এম এ হাসান কে।

নির্যাতিত সাংবাদিক এম এ হাসান বলেন,আমাকে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষ মানবপাচারকারী আব্দুল আলী ও তার লালিত সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে,
আমি ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে গ্রামের বাড়িতে যায়, ঈদের দিন নামাজ শেষ করে মা’কে সালাম করার জন্য বাড়ি যাওয়ার পথে গতিরোধ করে আব্দুল আলী ও তার সহযোগিদের নিয়ে আমার উপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নুর মোহাম্মদ কে বিষয়টি অবগত করিলে, তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক এম এ হাসানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। হামলাকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে মানবপাচারী আব্দুল আলী সহ তার সহযোগীরা
আমাকে প্রান নাশের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এবিষয়ে আহত সাংবাদিক এম এ হাসান বাদী হয়ে, আব্দুল আলী, সাইফুল ইসলাম, ফাতেমা খাতুন ও মিনু আরা সহ অজ্ঞাত নামা আরোও ৪/৫ জনকে আসামী করে
টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বর্তমানে আহত সাংবাদিক এম এ হাসান ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীতায় ভুগছে বলেছেন। যে কোন মুহুর্তে হামলার শিকার হতে পারি।কারণ তারা অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, মানবপাচারকারী, মামলার পলাতক আসামী ও পাহাড়ে অবস্থানরত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সাথে তাদের যোগসাজশ রয়েছে।

তাই টেকনাফ উপজেলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মানবপাচারকারী আব্দুল আলীর গ্রুপকে আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

এবিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি তদন্ত আব্দুল আলিম বলেন, আমরা অভিযোগ হাতে পেয়েছি।
সে বেশ কয়েটি মানবপাচার মামলার পলাতক আসামী। তাকে শীগ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।