নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের টেকনাফে দূর্বৃত্তদেরর গুলিতে মোহাম্মদ ইউনুছ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানাগেছে। সে সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজির পাড়া এলাকার হোসেন আহমদের ছেলে।
গেল বুধবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া ও মৌলভীপাড়ার মধ্যবর্তী ব্রীজ সংলগ্ন মাঠে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পত্র মতে জানা যায়,
বুধবার দুপুরে ইউনুছ প্রতিদিনের ন্যায় সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া ও মৌলভীপাড়া সীমানায় ব্রীজ সংলগ্ন মাঠে নিজের গরু চড়ানোর জন্য যায়।
এসময় টেকনাফের আলোচিত নূরুলহক ভূট্টো হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মৌলভী পাড়া এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে আব্দুল আমিন (৩২) এর নেতৃত্বে একই এলাকার মৃত ফজল আহমদের ছেলে একরাম (৩৫), আব্দুল করিম ( ৪০), মো. বশরের ছেলে আবুল কালাম উরুফে কালাইয়া (৪০), মো. আমিনের ছেলে তৌকির আহমদ (৩০), আব্দুস সালামের ছেলে ফয়সাল (২০), উলামিয়ার ছেলে মো. খুরশেদ (২৬), মৃত হাবিব উল্লাহর ছেলে মীর আহমদ উরুফে পুতিয়া (৩২), সুলতান আহমদের ছেলে ইয়াছিন (২২) ইউনুছকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে।
এসময় ইউনুছ দৌড়ে পালানোর সময় আব্দুল আমিন তার সাথে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি করে। গুলিটি ইউনুছের বাম হাতে বিদ্ধ হয়। আশপাশের লোক জন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত ইউনুছকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।এদিকে, আব্দুল আমিন, একরাম, তৌকির আহমদ ও ফয়সাল আলোচিত নূরুল হক ভূটো হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী। যার (জি আর মামলা নং- ৪৪০)।
এই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হক জানান, ঘটনার পরপরই স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালে সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের সাথে বাড়াবাড়ির জের ধরে নিজ ছেলের হাতে পিতা গুলিবিদ্ধ শিরোনামে একটি ভূলবাল বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে।
মূলত ঘটনার আগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সদর ইউনিয়নের চলমান কিছু প্রকল্প পরিদর্শনে ছিলাম। পরিদর্শন শেষে আমার ব্যক্তিগত মুটোফোনে স্থানীয় লোক জনের মাধ্যমে আমার ভগ্নিপতি ইউনুছ গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে যাই,
এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল প্রেরণের ব্যবস্থা করে দিই।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছি। তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply