টেকনাফে মালায়েশিয়াগামী ট্রলার ডোবে নিহত ৩ এবং উদ্ধার ৪৫

মোস্তাক আহমদ টেকনাফ:

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে হল বনিয়া সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নারী পুরুষসহ, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চার দালালসহ ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার এবং তিন (৩) জনকে সমুদ্র সৈকত ভাসমান মৃত্যু অবস্থা পাওয়া যায়।

গত সোমবার ( ৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা অবৈধ ভাবে ট্রলার যোগে গোপনের মাধ্যমে মালায়েশিয়া যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ভোরে সমুদ্র উপকূলে এই দুর্ঘটনাটি হয় বলে জানা যায়। স্থানীয় দালালের মাধ্যমে গোপনে বিভিন্ন আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নারী পুরুষ কে সংগ্রহ করে মালায়েশিয়া পাচার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানায়, বিশেষ করে নারীরা বলে যে, তাদের স্বামীরা মালায়েশিয়া বসবাস করে সেজন্য তারা সেখানে পাড়ি জানাচ্ছে। তারা বলে লোকাল দালালরা ক্যাম্প থেকে আমাদেরকে (রোহিঙ্গাদের) নিয়ে প্রথমে তারা গোপনের বিভিন্ন পাহাড়া বা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রেখে সন্ধ্যা নামলে সেখান থেকে তাদেরকে ছোট ছোট ট্রলার যোগে নিয়ে যাওয়া হয়।

রহিম নামের এক ব্যক্তি বলেন আমরা প্রায় প্রথমে ১২-১৫ মতো সন্ধ্যায় ট্রলারে উঠি তারপর ট্রলার কিছু দূর যেতে না যেতে আরও কিছু স্থান থেকে লোক আমাদের ট্রলারে ওঠে। কিন্ত আমি দেখেছি যে, সেখানের ধারণ ক্ষমতা থেকে বেশি ট্রলারে ওঠায় কিছু দূর যেতে ট্রলারটি ডোবে যায় আমি আর কিছুই জানি না সবাই চিৎকার দিয়ে উঠেছিল।

স্থানীয় একজন বলে আমি সকালে সমুদ্র তীরে এসে দেখতে পারি যে, বিভিন্ন লোকজন তীরে ছোটাছুটি করতেছে তখন আমি কোস্টগার্ডকে খবর দিয়। তারপর তারা এসে মালায়েশিয়াগামীদেরকে(রোহিঙ্গা) বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে এসে সমুদ্রে তীরে এক জায়গায় জড়ো করে তারপর তারা তাদের স্পিড বোট দিয়ে বাকীদেরকে উদ্ধারের কাজ করে।

স্থানীয়রা আরও বলেন মিয়ানমারের বিদ্রোহী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যখন তুমুল লড়াই চলছে। সেখানকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে ( রোহিঙ্গা গোষ্ঠী)। মিয়ানমারের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হচ্ছে। সে হিসেবে ভয়ভীতির মধ্যে এই দুঘর্টনা হতে পারে।

এ বিষয়ে বাহার ছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ বলেন খবর ফেরে আমাদের পুলিশের একটি টিম মাঠে কাজ করছে।
কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার শুরু করে দিয়েছি এবং যাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কে আমরা সমুদ্র তীরে একত্রিত করে ঝাউ বাগানে রেখেছি, এ পর্যন্ত নারী পুরুষ চার দালালসহ ৪৫ কে জীবিত উদ্ধার ও সমুদ্রর তীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন জনের মরা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *