শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

টেকনাফ বাহারছড়া সন্ত্রাসীদের হামলায় এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে

প্রকাশিত হয়েছে-

বিশেষ প্রতিনিধি,

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহার ছড়া ইউনিয়নের শিলখালী এলাকার বৃদ্ধ মোজাহেরুল ইসলাম
এর নিজ বসতভিটা অবৈধ ভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা। সন্ত্রাসী ও মানবপাচারকারী মোস্তাক বাহিনীর ধারালো দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মোজাহেরুল ইসলাম নামে এক বৃদ্ধ।

এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন,মোঃ শহীদুল্লাহ,
বৃদ্ধ মোজাহেরুল ইসলামের বড় ভাই আনোয়ারুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ উল্লাহ। তারা সকলেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতদের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে,
পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১৫ জুন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফের ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড শীলখালী এলাকার মৃত মোঃ কবিরের পুত্র মুজাহেরুল ইসলামের নিজ বসতভিটা অবৈধ ভাবে দখলে নেওয়ার জন্য স্থানীয় সলিমুল্লাহ,হামিদুল হক নুরুল ইসলাম,এবাদুল হক, শামশুল আলম, নুরুল বশর, আবুল বশর, ছৈয়দুল বশর ও সন্ত্রাসী ও মানব পাচারকারী মোস্তাকের নেতৃত্বে এলোপাথাড়ি
দা কিরিস দিয়ে কুপিয়ে আমাদের পরিবারের উপর হামলা চালায়।

এসময় সন্ত্রাসী ও মানবপাচারকারী মোস্তাকের নেতৃত্বে গুরুতর আহত হয়েছে মোজাহেরুল ইসলাম,আনোয়ারুল ইসলাম, প্রবাসী মোঃ শহীদুল্লাহ, আব্দুল্লাহ সহ আমার পরিবারের আরো অনেকেই।

স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনলে
বৃদ্ধ মোজাহেরুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। অপরদিকে এ ঘটনায় বাকী গুরুতর আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে এ হামলার ঘটনায় মোজাহেরুল ইসলামের পুত্র প্রবাসী মোঃ শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

বৃদ্ধ মোজাহেরুল ইসলামের পুত্র প্রবাসী মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন,আমি অনেকদিন ধরে পরিবারের সদস্যদের সুখের জন্য মালেশিয়ায় প্রবাসে ছিলাম।
আমি প্রবাস থেকে আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশে এসেছি মাত্র কয়েকটা দিন হয়েছে। হঠাৎ করে সন্ত্রাসী ও মানবপাচারকারী মোস্তাকের বাহিনীরা আমার বৃদ্ধ বাবাসহ আমার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়িভাবে দা কিরিস দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
বর্তমানে আমার বৃদ্ধ বাবা মোজাহেরুল ইসলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বর্তমানে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায়। সন্ত্রাসী ও মানব পাচারকারী মোস্তাক আহমেদ, আমার পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি- ধমকি দিয়ে আসছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দিয়ে হত্যা করবে বলে।

অভিযুক্ত মোস্তাকের বক্তব্য নিতে চাইলে মোবাইল রিসিভ করেনি।
বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি। যে কোন মুহুর্তে আমাদের পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করতে পারে সন্ত্রাসী মোস্তাকের নেতৃত্বে। তাই আমি টেকনাফ উপজেলার সকল প্রসাশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, উক্ত ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উল্লেখিত সন্ত্রাসী বাহিনীদের আইনের আওতায় আনা না হলে আরো বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমানে তাদের ভয়ে উক্ত এলাকা থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কক্সবাজার জেলার সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সু দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।