শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

টেকনাফ মডেল থানায় ওপেন হাউজ-ডে অনুষ্ঠানে এসপি হাসানুজ্জামান বলেন মাদক-মানব পাচারকারী দেশ ও সমাজের অভিশাপ

প্রকাশিত হয়েছে-

ইব্রাহীম মাহমুদঃ- টেকনাফ কক্সবাজার প্রতিনিধি,

পুলিশের প্রধান কাজ জনগনের জানমাল নিরাপত্তা রক্ষা ও অপরাধ দমনে ভূমিকা পালন করা। সমাজের একটা শ্রেণি ও অংশ বিশেষ সিন্ডিকেট করে মাদক ও মানব পাচার করছে। কিশোর ও কম বয়সীদের লোভনীয় ফাঁদের মাধ্যমে মাদক পাচারে জড়াচ্ছে। এসব অপকর্ম দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। সেইসব অপরাধীরা রাষ্ট্রীয় শক্তির চেয়ে বড়না। তাদের পিছনে যতই ক্ষমতাধর ব্যক্তি থাকনা কেন কারও রেহাই নেই।

পাশাপাশি মাদক ও মানব পাচারে অর্থদাতাদেরও ছাড় নেই। মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। মানব ও মাদক পাচারকারীদের অর্থলগ্নকারীদের ও কোন মতেই ছাড় দেওয়ায় হবে। তাদের ও আইনের আওতায় আনা হবে। এখানে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প রয়েছে। তারা বাহিরে বাসা বাড়ী নিয়ে থাকলে থানা পুলিশের কাছে তালিকা করে জমা দিন।

সাথে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দাতাদের ও তালিকা করে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। যে কোন বিষয়ে কোন সহযোগিতার প্রয়োজনে আমাকে সরাসরি ফোন বা মসেজ দিন।
পুলিশি সেবা পেতে লেনদেন বা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন কি না তা সরাসরি জানার জন্যই ওপেন হাউজডের আয়োজন। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম।
তিনি আরও বলেন মাদকবিরোধী, নারীনির্যাতন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে ।
পুলিশ জনগণের শত্রু নয়, বন্ধু। পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে সঠিক সেবা গ্রহণ করুন। যারা পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে হয়রানি করবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থ নেওয়া হবে। পুলিশ জনগণের সেবক হয়ে সবসময় পাশে থেকে কাজ করছে এবং করবে। মাদকের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই। মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন শুধু আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভন না।

এজন্য সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। আমাদেরকে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে মাদক ও মানব পাচার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এজন্য উঠান বৈঠক ও প্রচারনা চালাতে হবে।
মাদক সংশ্লিষ্টদের বাড়ী চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড টাঙ্গানোর দাবী ও তুলেন বক্তারা। এছাড়া সম্প্রতি সদর, বাহারছড়া ও সাবরাং ঘাঁটদিযে মানব পাচার বেড়েছে বলেও বক্তারা বলেন।
শনিবার(১২মার্চ) বেলা ১১টায় থানা চত্বরে ওপেন হাউজ-ডে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল শাকিল আহমদ। মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল আলিম, অপারেশন অফিসার খোরশেদ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফারুক আল্ মামুন ভুঁইয়াসহ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, পৌর মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম, শাহপরীরদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি সোনা আলী, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশের মাহমূদ আলী, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসাইন খোকন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার জাহেদ হোছাইন, সহ-সভাপতি জহির হোসেন এমএ, উপজেলা কমিউনিট পুলিশের সভাপতি মোঃ আলম বাহাদুর, পৌর কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি সাইফ উদ্দীন খালেদ।
উম্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পৌর কাউন্সিলর কোহিনুর আকতার, হ্নীলা ইউপি মেম্বার মোঃ আলী, মহিলা মেম্বার নাসরিন পারভীন, সাবরাং ইউপি মেম্বার আবুল ফয়াজ, পুরান পল্লান পাড়ার কুলছুমা আকতার, হোয়াইক্যংয়ের আলমগীর চৌধুরী,
হ্নীলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি রেজাউল করিম, সাংবাদিক মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, নুরুল হোছাইন, নাছির উদ্দীন রাজ, সাইফ উদ্দীন মামুন, শেখ রাসেল, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফ উল্লাহ, কমিউনিট পুলিশের উপজেলা সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, হোয়াইক্যংয়ের নুরুল আমিন প্রমুখ। স্থানীয় জনসাধারণ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্টমিডিয়ার নেতৃবৃন্দরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।