শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

প্রকাশিত হয়েছে-

ইব্রাহীম মাহমুদ

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের উপকূলীয় ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর শিলখালী এলাকায় ইউএসআইডির আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কোডেক বাস্তবায়িত নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে উত্তর শিলখালী এলাকায় জন্ম নেওয়া প্রায় সাড়ে তিন শত সামুদ্রিক কাছিমের বাচ্চাকে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। বুধবার (১১ মে) দুপুরে বাহারছড়া ইউপির উত্তর শিলখালী সমুদ্রে হয়ে এসব কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।

এদিকে অবধি ২ হাজার ৪০৪টি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে। এবং আজকের সাড়ে ৩শ বাচ্চাসহ গত কয়েকদিন আগে ১১’শ ৮১টি বাচ্চা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উত্তর শিলখালী তাদের নিজস্ব হ্যাচারির রাত প্রহরী নুরুল আমিন সমুদ্র চরে রাতবেরাতে ঘুরে ঘুরে সমুদ্র থেকে যখন মা কাছিম ডিম ছাড়তে তীরে উঠে তখন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাছিমের ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়।

সেখানে জন্ম নিচ্ছে এসব বাচ্চা।পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বড় হলে সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাগরে অবমুক্ত করা হয়।

টেকনাফ বন রেঞ্জের আওতাধীন শিলখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও প্রজনন প্রক্রিয়ার তদারকি করে আসছে কোডেকের প্রজেক্ট (নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প) তাদের উত্তর শিলখালী নিজস্ব হ্যাচারিতেই জন্ম নিয়েছে এসব কাছিমের বাচ্চা।

টেকনাফ উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা বলেন,”কাছিম সমুদ্রের ময়লা আবর্জনা খেয়ে সমুদ্রকে পরিষ্কার রাখে, সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য কাছিমের যেমন প্রয়োজন তেমন অন্য সব সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে কোডের কাজ প্রসংশার দাবি রাখে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা, কোডেক ন্যাচার এন্ড লাইফের প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর নারায়ন কান্তি দাস, এনআরএম ম্যানেজার অসীম বড়ুয়া, ন্যাচার এন্ড লাইফের সাইট কো-অরডিনেটর শরিফুল আলম, লিয়াকত আলী ও সাপোর্ট স্টাফ-রমেশ চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মচারীরা।