তিনি বলেন, গণপ্রতিরোধ ও প্রতিবাদ ছাড়া সহজে আলেম ওলামাদের গ্রেফতারের জন্য লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে সরকার সমগ্র দেশবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে। দেশের নিম্নআয়ের গরিব মানুষকে আর হয়রানি ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা পাঠান, আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাবো; একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না। এর বিনিময়ে আপনারা লকডাউন তুলে নিন। লকডাউনের অজুহাতে জোর, জবরদস্তি করে যে সকল মাদরাসা ও হেফজখানা বন্ধ করে কুরআন-হাদীসের চর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন, ওগুলো খুলে দিন। যাতে কুরআন-হাদীসের ব্যাপক চর্চার বরকতে দেশের ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
রমজানে আলেম-উলামা ও তৌহিদী জনতার ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করার আহবান জানিয়ে ওই বিবৃতি দেন হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা পরিস্থিতির কারণে নিজ গৃহে বন্দি জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন জুলুম চলছে মসজিদ, মাদরাসা, হিফজখানা ও এসব প্রতিষ্ঠানের হেফাজতকারীদের ওপর।
সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে হেফাজত আমির বলেন, এই রমজান মাসে রিমান্ডে নেয়া আলেম ওলামাদেরকে বিধর্মী এবং অবিশ্বাসীদের দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করাবেন না। তারা এই সকল হযরতদের সাথে খুবই নিষ্ঠুর ও অপমানজনক আচরণ করছে। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এসব বরদাস্ত করবেন না।
হেফাজত আমির বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মাহে রমজান হল সাহায্য সহানুভূতির মাস। বাকি এগারো মাসের তুলনায় রমজান মাসে সকল ধরনের ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অনেক গুণ বেশি। অথচ এই মাসেই বাংলাদেশে শত শত হেফাজত নেতাকর্মী, আলেম ওলামা, ছাত্র ও তৌহিদী জনতার ওপর জুলুম, গ্রেফতার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রমজানের এই পবিত্র মাসে ফিতনা-ফাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা যখন ইসলাম আমাদেরকে দেয়, তখন সরকার ইসলাম প্রচারকদের বন্দি করে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে। আমার এই সকল সহকর্মী হযরতগণ হাজতের নোংরা পরিবেশে সাচ্ছন্দ্যে গোসল করতে, অজু করতে, নামাজ আদায় করতে, পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে, সেহরী-ইফতারও করতে পারছেন না। এসব জুলুম, বর্বরতা, মানবতার অপমান দেখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাখোশ হবেন।
দেশবাসীর উদ্দেশে বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলন সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভবিষতেও তাই থাকবে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। কোনো সরকারই জনগণের এই মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কথিত ‘তাণ্ডব ও ভাঙচুর’-এর অভিযোগে সারা দেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। বিনা শর্তে ষড়যন্ত্রমূলক এই সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করুন, কারাবন্দি সকল আলেম ওলামাদেরকে মুক্তি দিন
Leave a Reply