বৃহস্পতিবার , ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দীর্ঘ ৭ মাস কারা ভোগের পর মুক্তি পেলো এক পরিবারের ২সন্তান

প্রকাশিত হয়েছে-

মোঃ রেজাউল আজিম- (বাঁশখালী-প্রতিনিধি),

প্রায় ২১৭দিন কারা ভোগান্তির পর ইসলামী যুব আন্দোলন চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার সাধারণ সম্পাদক বাঁশখালী জলদীর কৃতিসন্তান মাওলানা মোবারক হোসাইন আসিফ ও তার ছোট ভাই মঈনুল হাসান হাবিব আজ ২৩মে রোজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার সময় সারা দিন জেল গেইটে হয়রানির পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। এর আগে হাইকোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর হলেও বিচারকের সাক্ষরের জন্য অনেক ভোগান্তির পর মুক্তি পান ।

বাঁশখালীতে গত ১৩ ই অক্টোবর ২০২১ ইং বুধবার কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনার পর বাঁশখালী জলদীতে সংঘটিত মিছিল ও সংখ্যালঘুর বসতবাড়িতে হামলার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হলেও তিনি বলেন আমি নির্দোষ।

তিনি আরও জানান! জলদি মিয়ার বাজার চৌধুরী নিউ মার্কেটের ২য় তালায় আমার এবং ছোট ভাইয়ের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। আমার দোকানে কাজ করার সময় বুধবার রাত প্রায় ৯ টার সময় হঠাৎ করে এক বিশাল মিছিলের স্লোগান শুনা যায়, আমি দোকান থেকে বের হয়ে দেখলাম পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ, তৌহিদী জনতা বেশি উত্তজিত হলে আমি নিচে গিয়ে দেখি মিছিল টা কোন দলীয় নয় আমজনতার (স্বাতন্ত্র)। আমি এলাকার স্থানিয় এবং বাজার কমিটির দায়িত্বশীল হিসেবে সবাই আমাকে চিনে। সেই পরিচয়ে এক পুলিশ অফিসার আমাকে বলে, আপনি একটু মিছিল কারীদের শান্ত করুন। তাদের অনুরুধ রাখার জন্য আমি একটা ট্রাকের উপর উঠে মুসল্লীদের শান্ত হওয়ার জন্য আহ্বান করি এবং তাদের দাবী পুলিশ অফিসারকে উপস্থাপন করলাম, অফিসার মুসল্লীদের দাবী মেনে নিলে সবাই অফিসারের উপস্থিতিতে মিছিল শেষ করে দিয়ে সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়, এই অপরাধে আমি গ্রেফতার।

তিনি আরও জানান :- আমার কেইস পাটনার বেশিরভাগ মুক্তি পেলেও একেবারে দেরিতে মুক্তি পেলাম আমরা এক পরিবারের দুই ভাই।

তারা দুই ভাইয়ের মুক্তিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন সাংগঠনিক উপরস্থ দায়িত্বশীলগণ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ , ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মী সমর্থকরা।