শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দ্রব্যমূল্য কমাতে না পারলে সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিক ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ

প্রকাশিত হয়েছে-

ওমর ফারুকঃ- ( স্টাফ রিপোর্টার),

নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের মতামতে গঠিত জাতীয় সরকারের অধীনের নির্বাচন চায় চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন। সংসদ ভেঙে তফসিল ঘোষণা, নির্বাচনকালে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন ও ভোটের দিনে তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া, ইভিএম ব্যবহার বন্ধ করাসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তান শহীদ মতিউর রহমান পার্কে দলের মহাসমাবেশ থেকে এই দাবি তুলে ধরেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম

। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েমসহ নানা দাবিতে এ সমাবেশ করেছে দলটি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না পেয়ে আজ দুপুরে গুলিস্তানে কর্মসূচি পালন করে চরমোনাইয়ের পীরের দল। বেলা ১০টায় মহানগর নাট্যমঞ্চ এলাকায় দলটির নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিপুল উপস্থিতি ছিল সমাবেশ ঘিরে। রাজউক ভবন থেকে গুলিস্তান হয়ে জিপিও পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরমোনাইয়ের পীর মুফতি রেজাউল করীমের ইমামতিতে সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেন সমাবেশকারীরা।

সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, দ্রব্যমূল্য কমাতে না পারলে সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিক। বাজার কারসাজিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। মদ ও সকল ধরনের মাদক নিষিদ্ধ করতে হবে। সকল পর্যায়ে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাঠ্যসূচি থেকে ডারউইনের ‘অবৈজ্ঞানিক’ বিবর্তনের তত্ত্ব বাদ দিতে হবে। এছাড়া কারাবন্দি সকল আলেম উলামার মুক্তি দাবি করেছেন চরমোনাইয়ের রেজাউর করীম।
১৫ দফা দাবির মধ্যে আরও আছে- নির্বাচনে সকল দলের সমান সুযোগ, ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ, সব দলের জন্য গণমাধ্যমে এবং সভা সমাবেশের সমান সুযোগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং সংসদে ভোটের অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব।

১৫ দফার পক্ষে ১৩ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত আট বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন। এছাড়া ১ জুলাই ঢাকায় গণমিছিল করবে বলে সমাবেশে জানানো হয়।

মুফতি রেজাউল করিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ নবম জাতীয় সংসদে একতরফাভাবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করায় রাজনৈতিক সংকটে নতুন মাত্রা পেয়েছে। তারা এবারও সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে চায়। তা হলে আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে। রাতের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান সংসদের বৈধতা নেই। এই অবৈধ সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন দেশবাসী মানবে না। সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে ভোট করবে হবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, মদের আইন বাতিল, স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি মেনে নেয়ার দাবিতে পীর সাহেব চরমোনাই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন-
বিভাগীয় সমাবেশ-
১. ১৩ মে, শুক্রবার রংপুর
২. ২০ মে, শুক্রবার বরিশাল
৩. ২১ মে, শনিবার খুলনা
৪. ২৭ মে, শুক্রবার চট্টগ্রাম
৫. ৪ জুন, শনিবার রাজশাহী
৬. ১০ জুন, শুক্রবার সিলেট
৭. ২০ জুন, সোমবার মোমেনশাহী
১ জুলাই, শুক্রবার ঢাকায় গণমিছিল

মহাসমাবেশে বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা আবদুল হক আজাদ; মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ প্রমুখ।