নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের নিজ উদ্যোগে পুটিবিলা ইউপি ভবন সংস্কার

ইসমাইল হোসেন সোহাগ:- বিশেষ প্রতিনিধি,

পৃথিবীতে সবাই সুন্দরকে ভালোবাসে। সুন্দরের প্রতি ভালোবাসাও জম্মে। হোক মানুষ কিংবা বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী এবং দালানকোঠা। কেউবা সুন্দর প্রসাধানী, কেউবা দালানকোঠা সাজাতে রঙ বেরঙের সাজ। তাই সবাই সুন্দরের প্রতি থাকে আকৃষ্ট।

তেমন আজ একটি ইউনিয়ন পরিষদের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, বলছিলাম চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ৭নং পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের কথা। এ ইউনিয়ন পরিষদের ঝরাজীর্ণ ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হয়ে পড়ে ছিলো। সরকারি ভাবে কোন বরাদ্ধ না থাকায় নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সুযোগ্য, জনবান্ধব দায়িত্বশীল চেয়ারম্যান জননেতা জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক। এই ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বাজার, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সবার নজর কাড়ে এই নতুন সাজে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে। কারণ কে না চায় সুন্দরকে ভালোবাসতে, সবাই সুন্দরের পূজারী।

৭নং পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক তার সাফল্যের তীরবর্তীর নজর দিয়েছেন এই পরিষদের প্রতি। মনের মাধুরী মত তিনি ভালোবাসেন এবং নিজের মত করে নিয়েছেন এই পরিষদকে। তিনি এই নির্মিত ইউনিয়ন পরিষদের জরাজীর্ণ সংস্কার বিহীন পরিষদটি নতুন করে সাজিয়ে নিচ্ছেন।পরিষদের ভবনটি পূরনো খসে পড়া জানালা পরিবর্তে নতুন জানালা, নতুন দরজা, ছাদের সিলিং, ফ্লোর, দেয়ালের রং ও পরিষদ ভবনের সামনে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এস.এস পাইপ দিয়ে বেষ্টনি, ডিজিটাল ন্যাম বোর্ড লাগানোর কাজ করতে দেখা গেছে। এছাড়াও পরিষদের ভেতরে গ্রাম্য আদালত বসার স্থানে সু-ব্যবস্থা, ডিজিটাল মডেল ইউনিয়ন গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে তথ্য সেবা কেন্দ্র আধুনিকায়নের কাজ চলছে। নিজে উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করে পুরো পরিষদকে তিনি সংস্কার করে নতুন রূপে সাজিয়ে নিচ্ছেন।

স্থানীয়’রা জানান, অনেক আগে থেকেই এই পরিষদের অবস্থা ছিলো বেহাল দশা। এতে করে বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। বৃষ্টি হলে ফাটল দিয়ে পানি পরে। কেউ পরিষদে থাকতে হিমসিম হতো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হতো। বর্তমান মানবিক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক নিজ উদ্যোগে তিনি পরিষদের বিভিন্ন দরজা, জানালা, দেওয়াল সহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো সংস্কার ও মেরামত করে নতুন করে সাজান।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টির নাজুক চেহারা পরিবর্তনে ভবন সংস্কার, সৌন্দর্য্য বর্ধন ও ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ সকল কাজ সম্পন্ন করতে নিজ অর্থায়নে এই পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মত ব্যয় হয়েছে। ভবনটি পরিপূর্ণ ভাবে সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করতে অর্থ ব্যায় হতে পারে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার মত।

সময়োপযোগী ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অত্র ইউনিয়নের জনসাধারণ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *