নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্ঠায় মতবিনিময় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোহাম্মদ শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে ইব্রাহিম খলিল এর সঞ্চালনায় ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্ঠায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাস্হ ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্টা করার লক্ষ্যে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেঃকর্নেল আজিজ আহমদ, বিশেষ অতিতি খাইরুল বশর প্রতিনিধি মন্ত্রী বীর বাহাদুর উৈশাসিং এমপি, আলমগীর হোসেন অফিসার্স ইনচার্জ নাইক্ষ্যংছড়ি থানা, অধ্যাপক সিরাজুল হক টেকনাফ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল আলম, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ, অধ্যক্ষ মো ফরিদুল আলম সাফা মোতালেব বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চট্রগ্রাম, জয়দেব কর্মকার প্রভাষক বান্দরবান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ নুরুল আবছার ইমন চৌঃসদর ইউপি চেয়ারম্যান নাইক্ষ্যংছড়ি।
স্বাগত বক্তব্য ছৈয়দ অালম মধ্যেদিয়ে সম্মানিত উপস্হিত প্রধান অতিতি এবং বিশেষ অতিথিরা বক্তব্যে প্রদান করেছেন।
প্রধান অতিতির বক্তব্যে বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্টার লক্ষ্যে সকল শ্রেণীর পেশাজীবীদের আন্তরিকতা আর চেষ্টার স্হাপন হতে যাচ্ছে পড়াশোনার মহাসাগর। যে মহা সাগর না হলে আপনাদের সন্তান সূশিক্ষা শিক্ষিত হয়ে দেশ সেবা থেকে শুরু করে সর্বপ্রকার কল্যাণে আত্মসেবাই নিয়োজিত করতে পারবে না।
তাই সকলে কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে কলেজ প্রতিষ্টার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান করেন এবঙ তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটেলিয়ন এর পক্ষ থেকে কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান ঘোষনা করেন।
অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম বলেন, সুশিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এই স্লোগানকে নিয়ে এলাকার ছেলে- মেয়েদের উচ্চ মেধাবিকাশে উন্নয়ন ঘটাতে মন্ত্রী বীর-বাহাদুরকে কলেজ প্রতিষ্ঠিত করার প্রস্তাব করায় মন্ত্রী সম্মতির প্রকাশ করে বলে জানায়।
তিনি বলেন মন্ত্রী সম্মতি দেওয়া প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করতে আজকে পূর্বঘোষিত মতবিনিময় সভা।
কবি অধ্যাপক সিরাজুল হক বক্তব্যে বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ প্রতিষ্ঠায় কাষ্টম এলাকাতে যদি কোন প্রকার জমির প্রয়োজন হয় তাহলে নিজের অর্জিত সম্পত্তি অংশ থেকে কলেজের জন্য দান করবেন।তিনি ব্যক্তিগগতভাবে কলেজ প্রতিষ্ঠার সূচনাকালে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষনা দিয়ে সর্বজনকে কলেজ বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক তৌহিদুল আলম বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নে কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির পিতা মরহুম ছালেহ আহমদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান স্হাপন করে উপজেলাতে নজির সৃষ্টি করে চলে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতা নিয়ে উক্ত সভাপতিকে সর্বাত্মক চেষ্টা করে মন্ত্রী বীর বাহাদুরে ধারস্হ হয়ে প্রতিষ্টিত করার অনুরোধ জানান।
প্রভাষক জয়দেব কর্মকার বলেন, ঘুমধুম বাসীর কলেজের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায় অত্র এলাকার আপামর জনগনের উপস্হিতিতে।তিনি কলেজের জন্য সম্মানিতদের সম্মতিক্রমে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচনে অনুরোধ করেন।
মন্ত্রী প্রতিনিধি খাইরুল বশর বলেন, পার্বত্য মন্ত্রীর স্বু-নজরের প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে ঘুমধুম ইউনিয়নের বুকে কলেজ প্রতিষ্টিত হওয়া। তিনি পার্বত্য মন্ত্রীর সকল উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আগামীতে এলাকার গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে এলাকার বাইরে গিয়ে যাদে পড়তে না হয় সেই লক্ষ্যে কলেজ প্রতিষ্ঠায় সর্বজন নিয়ে মতবিনিময়।
উক্ত মহতি অনুষ্টানে সম্মানিত যারা উপস্হিত ছিলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান রাজামিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, খাইরুল বশর প্রধান শিক্ষক ঘুমধুম উচ্চ ববিদ্যালয়, হামিদুল হক প্রধান শিক্ষক ঈদগড় হেডম্যান পাড়া সঃপ্রাঃবিঃ, এ্যাডভোকেট তারেক আজিজ জামি ঢাকা জর্জ কোর্ট, আব্দুর রহিম শাওন প্রঃশিঃ তুমব্রু সঃ প্রঃ বিঃ, সাজেদ উল্লাহ সাবেক প্রঃশিঃ দঃ ঘুমধুম সঃপ্রঃবিঃ, সাংবাদিক শ ম গফুর সদস্য উখিয়া প্রেসক্লাব, সাংবাদিক নুর মোঃ শিকদার, সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান, ডাঃ মোঃ শাহজাহান সিনিয়র সহ-সভাপতি ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌঃ পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদ, বদর উল্লাহ বিন্দু সভাপতি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্র-লীগ, সোহেল রানা সভাপতি ঘুমধুম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, হেলাল উদ্দিন প্রঃশিঃপাঃসঃপ্রাঃবিঃ, শাহজাহান সঃশিঃতুমব্রু সঃপ্রাঃবিঃ, হামিদুল হক সঃশিঃতুমব্রু সঃপ্রাঃবিঃ, সহকারি শিক্ষক আব্দু রহিম, প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সহ ঘুমধুম, উখিয়া, পালংখালির সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ।
সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরণ হতে যাচ্ছে।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার।তাই মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল হউক ঘুমধুম কলেজ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
উপস্হিতি সকলের আত্মপ্রত্যয়ে মুগ্ধ হবেন পার্বত্য বীর এবং সকলকে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে সহযোগিতার হাত বাড়িতে দিতে বলেন।
Leave a Reply