কোন কারণ ছাড়াই পাচ বছর যাবত বন্ধ রয়েছে ইসলামি ব্যাংকের স্থায়ী সাব স্টাফদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে দেন দরবার করে ন্যায্য অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়ে সাব স্টাফ কর্মিরা বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মরণাপন্ন হয়ে গভর্নরের দফতরে আবেদন করে কিন্তু বিদায়ী গভর্নর বিষয়টির সুরাহা না করায় কোনো দৃশ্যমান ফলাফল হয়নি।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা সাব-স্টাফদের নিকট থেকে জানা যায় ২০১৭ সালে ৫৫ জনকে এই লেভেল থেকে পদোন্নতি দিয়ে কোন কারণ ছাড়াই প্রক্রিয়াটি বন্ধ করে দেয়া হয়। যখন যোগ্যতা সম্পন্ন ছয় শতাধিক পদোন্নতি বঞ্চিত রয়ে যায় যাদের মধ্যে দেড় শতাধিক রয়েছে ব্যাংকিং ডিপ্লোমাধারী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন কোন ব্যাংক দেউলিয়া না হলে তার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধা বন্ধ করতে পারে না।
বিষয়টি নিয়ে ইসলামি ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন সাব-স্টাফদের অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে পদোন্নতি দিলে ব্যাংক উপকৃত হবে। তাছাড়া ব্যাংকের ৩৮৫ টি শাখা এবং ২২০ টি উপশাখা রয়েছে সেখানে তাদের এডাপ্টেড করা অসম্ভব নয়।তবে বিষয়টি মালিক পক্ষের উপর ডিপেন্ডেবল।
স্থায়ী সাব-স্টাফদের মধ্যে ছয় শতাধিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তরসহ দেড় শতাধিক ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাস রয়েছেন যারা পদোন্নতির আশায় এই পদে যোগদান করে সততা,নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আবার এদের সবার চাকুরির বয়স ১২ থেকে ১৭ বছর হয়ে গেছে। তাদের সবার সরকারি চাকুরির বয়সও পার হয়ে গেছে। সব মিলে এক ধরণের হতাশা ঘিরে ধরেছে এই সব স্টাফদের । একটি সূত্র দাবি করেছে, এ সব স্টাফদের পদোন্নতি ব্যাংকের একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। এর জন্য দেন দরবারের প্রয়োজন হওয়ার কথা না। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকে এটা হচ্ছে। যা ব্যাংকটির ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কারণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ব্যাংকটির সর্বস্তরের কর্মিরা কর্মদক্ষতা, সততা, আন্তরিকতা দিয়ে দেশে বিশ্বমানের ব্যাংকিং এর উদহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের সেরা ১০০০ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে এ ব্যাংকটির অবস্থান।
ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে ব্যাংকটির উধর্বতন কর্তৃপক্ষের এক রোখা দৃষ্টি ভঙ্গির কারণে RDS( আরডিএস) কর্মিরা আদালত মুখি হতে বাধ্য হচ্ছে । একটা সময় হয়তো সাব-স্টাফদেরও আদালতে যেতে বাধ্য করবে।
সূত্রমতে, অনেকটা প্রশ্নহীন ভাবে ব্যাংকে একের পর এক নিয়োগ পাচ্ছে একটি বিশেষ অঞ্চলের মানুষ। আর আটকে রাখা হয়েছে যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মিদের রেগুলার পদোন্নতির মতো বিষয় । উল্লেখ্য, সাব-স্টাফদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছেন যাদের বক্তব্য ইসলামী ব্যাংকে এখনো বিতর্কিত একটি দলের লোক এমডি ডিএমডি হতে পারলে আমরা অফিসার হতে সমস্যা কোথায়? প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বরনাপন্ন হব এটি আমাদের প্রাণের দাবি। নতুবা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যেতে বাধ্য হব।
এ বিষয়ে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মাওলার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে মোবাইল রিছিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply