শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রকাশিত সংবাদে সৈয়দ আরিফের ভিন্নমত প্রকাশ

প্রকাশিত হয়েছে-

প্রকাশিত সংবাদে সৈয়দ আরিফের ভিন্নমত প্রকাশ

মিজানুর রহমান (লাভলু)সিলেটঃ
সিলেটে অনিবন্ধিত দুটি অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা, মনগড়া ও উদ্দ্যেশ্য মূলকভাবে প্রকাশিত সংবাদে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন সৈয়দ আরিফ। সৈয়দ আরিফ সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার সৈয়দ তৈমছ আলীর পুত্র। বর্তমানে- সিলভেলী টাওয়ার, বি ১২, তালতলা, সিলেট।

পাঠানো এক ভিন্নমত বার্তায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা এবং বানোয়াট দাবি করে সৈয়দ আরিফ বলেন- আমি মূলত পেশায় একজন এলসি পাথরের ব্যবসায়ী। যাহার এলসি লাইসেন্স আইআরসি নং- ২৬০৩৯১১১০১২৫৫২০, টিন নং- ৮৫৬৯২১৪০৫৭১০। আমার উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা: ২৯ মেলেনিয়াম মাকের্ট নীচ তলা, জিন্দাবাজার সিলেটে অবস্থিত। আর আমি ও আমার পরিবার পূর্ব পুরুষ হইতে সম্পদশালী। এছাড়াও বর্তমানেও আমার ৩ ভাই ও ২ বোন পরিবারসহ লন্ডনের স্থায়ী বাসিন্দা। আমার বাবা ক্যান্সার রোগে আকান্ত হওয়াতে গত (১৩ই মার্চ) ২০২২ইং তারিখ হইতে এ রিপোর্ট প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত ঢাকার ল্যাভেএইড ক্যান্সার হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমিও আমার বাবার সঙ্গে ওই তারিখ হইতে এখনো পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করছি। আমি ঢাকা থাকাকালীন অবস্থায় আমার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে জানতে পারি যে গত বুধবার (২০ এপিল) “ভারতীয় চোরাই মোবাইলের গডফাদার আরিফ, মেকানিক থেকে কোটিপতি” শিরোনামে সিলেটের দুটি অনলাইন পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার গর্ভে আমাকে হেওপ্রতিপন্ন করে বলা হয়েছে গত (১৪ এপিল) শাহপরান (রহ.) থানায় ১০০ পিস ভারতীয় চোরাই মোবাইল সহ ৩ চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে। সেই মালামালের মালিক আমাকে আখ্যায়িত করে সংবাদটি প্রকাশিত করা হয় যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও বিত্তহীন। পরবর্তীতে আমি আমার আত্মীয়স্বজন ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি উক্ত ঘটনায় শাহপরান (রহ.) থানায় ৩ জন চোরাকারবারী এবং তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত চোরাই মোবাইলের মালিক খাদিমপাড়া এলাকার মোঃ আনোয়ার হোসেনের পুত্র শিপলুকে (৩০) আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাহার থানার মামলা নং- ১০ তাং- ১৫-০৪-২০২২ইং। তবে এই মামলায় এখনো পলাতক রয়েছে শিপলু (৩০) নামের ওই ব্যক্তি।

তবে উল্লেখ্য, যে মামলা সুত্রে আমাকে আসামি করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেই মামলার নথিপত্র আদালত হইতে সংগ্রহ করে দেখা গেছে মামলায় আমাকে সনাক্ত করে আসামি করা হয়নি কিংবা এই ঘটনার সঙ্গে বাস্তবেও আমার কোন যোগসুত্র নাই।

প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়াও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি কুচক্রী মহল আমাকে কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিকভাবে হেয় করতে প্রতিবেদককে উৎকোচের বিনিময়ে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করাচ্ছে। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এমনকি এরকম মিথ্যা সংবাদ আমি অথবা যে কারো বিরুদ্ধে সংগ্রহ কিংবা ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা থেকে প্রতিবেদকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান সৈয়দ আরিফ।