বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রজনন তন্ত্রে কোন প্রকার গভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার ছাড়াই ১ বছর বা তা অধিক সময় অরক্ষিত যৌন মিলনের পরও যদি কোন দম্পতির সন্তান না হয়

প্রকাশিত হয়েছে-

আলমগীর হোসেনঃ- বিশেষ প্রতিনিধি,

 

চিকিৎসা বিকনের ভাষায় তা বন্ধ্যাত্ব নামে পরিচিত। ‌গভ’ধারনের ক্ষমতা বয়সের উপর নিভ’র করে,নারীর ৪৫ বছর প্রজনন বয়স ধরা হলেও ৩৫ বছরের পর থেকে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে।গভ’ ধারনের সমস্যা প্রায় দম্পতির ক্ষেএেই ঘটে থাকে। ৩০ শতাংশ নারী ও ১৫ শতাংশ পুরুষের ক্ষেএে দেখা যায়।

দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের সমাজে অন্যায়ভাবে শুধু স্ত্রীর ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয়।এমন কি স্বামীকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়েতে আগ্রহী করা হয়।

বন্ধ্যাত্ব দুই ধরনের হয়ে থাকে।প্রাইমারী অথা’ৎ বিয়ের পর থেকে আদৌ বাচ্চা না হওয়া,সেকেন্ডারী আথা’ৎ বিয়ের পর এক দুই সন্তান হওয়ার পর আর হচ্ছে না। ‌বন্ধ্যাত্বের কারণঃ সন্তান না হওয়ার জন্য যে শুধু একজন স্ত্রীই দায়ী তা সঠিক নয়।

স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের সমস্যার কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। তবে সমস্যা যারেই হোক না কেন সঠিক রোগ নিণ’য়ের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে কোল জুড়ে আসতে পারে সুন্দর ফুটফুটে সন্তন। ‌পুরুষের বন্ধ্যাত্বর কারণঃশুক্রাণুর পরিমাণ কম থাকলে,শুক্রাণুর নড়াচড়ার ক্ষমতা নাথাকলে,শরীরে পুরুষ হরমনের মাএা ঠিক নাথাকলে,শক্রনালী বন্ধ থাকলে,পুরুষাঙ্গের দৃঢ়তার অভাব,গণোরিয়া, বংশগত কারণ ইত্যাদি। ‌

মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের কারণঃঅনিয়মিত মাসিক,মাসিকের সময় ব্যাথা,ফেরোপিয়ান টিউব বন্ধ হয়ে গেলে, ওভারীতে সিস্ট থাকলে,জরায়ুতে টিউমার,সিস্ট পলিব থাকলে,অতিরিক্ত ওজন।শরীরে স্ত্রী হরমনের মাএা ঠিক না থাকলে ইত্যাদি। ‌বন্ধ্যাত্ব নিণ’য়ের জন্য ল্যাবটরী পরীক্ষাঃ রক্তের CBC,হরমোন পরীক্ষা, সিমেন অ্যানালাসিস, আল্ট্রাসনোগ্রাপী ইত্যাদি। ‌চিকিৎসাঃ পুরুষ বা নারী সমস্যা যারই হোক না কেন তা নিয়ে পারিবারিক অশান্তি বা পারস্পরিক দোষারোপ না করে উভয়ে একই সাথে গিয়ে ডাক্তারের পরামশ’ নেয়া দরকার।

হোমিওপ্যাথি একটি সফল লক্ষ্মণ ভিত্তিক চিকিৎসা বিঙ্ঘান,তাই লক্ষণানুসারে, থুজা,পালসেটিলা,সিপিয়া, সেবাইনা,নেট্রামমিওর, সেলিনিয়াম,টানেরা,হোলোনিয়াস,সেলিক্স নায়াগ্রা,ট্রিবুলাস,টেস্টিস, অশ্বগন্ধা ইত্যাদি ঔষধে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা সময় সাপেক্ষে ও নিরাময়যোগ্য।রোগী যদি একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামশ’ অনুসারে,ধৈয্য সহকারে নিয়মিত ঔষধ সেবন করে তাহলে এ রোগ থেকে সফলতা পাবেন ইনশাআল্লাহ্।

‌ডাঃ আরিফুল হোসেন লেমন। ‌

ডি,এইচ,এম,এস(ঢাকা) ‌হোসেন হোমিও হল ‌স্টেশন রোড,রংপুর। ‌

মোবাইলঃ০১৭১৮-৬১৩৫৩৫