বুধবার , ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফটিকছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতার সাটারগানের গুলিতে ৫ জন গুলিবদ্ধ

প্রকাশিত হয়েছে-

 

আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

 

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দারুস সালাম ঈদগাঁও মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ছাত্রদের মারধর করতে গেলে স্থানীয় জনগনের বাধাঁর সম্মুখীন হয়ে নানুপুর আওয়ামীলীগ নেতা পাটান হাসান তার শাটার গান থেকে এলোপাতারী গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ৫ জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বকভাবে আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

আহতরা হলেন ইমরান (২৭) পিতা-জানে আলম, নুর উদ্দিন (২৬) পিতা গাফফার, মজিব উল্লাহ (১৮) পিতা-আজম, বাহাদুর (৬৫) পিতা-আবদুর রশিদ, জোবায়ের (২৮) পিতা-আবদুল কাশেম।

স্থানীয়রা জানান গতকাল সোমবার দুপুরে মাইজভান্ডার এলাকার মন্নানীয়া সড়কের পূর্বপাশে অবস্থিত সরকারী খাস জায়গায় দারুস সালাম ঈদগাওঁ মাদ্রসায় ভবনের নিমার্ন কাজ বন্ধ রাখার জন্য নানুপুর ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা পাঠান হাসানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক উপস্থিত হয়ে মাদ্রাসা ভাংচুর ও ছাত্রদের উপর হামলা করলে তখন মাইকে হামলার কথা প্রচার করা হলে পাশের মোবারক আলী পন্ডিত বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের সঙ্গে পাঠান হাসান বাহিনীর লোকদেন সংঘর্ষ বেধে গেলে তখন হাসান তার সাটারগান থেকে ৫/৬ রাউন্ড গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বকভাবে আহত হয়। তাদেরকে বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এলাকায় পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।

ফটিকছড়ি উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুল আরেফিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ.এম আবু তৈয়র, ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আওয়ামীলীগ নেতা পাঠান হাসান জানান তারা মাদ্রাসাটি সরকারী খাস জায়গায় করার চেষ্টা করছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমরা তাদেরকে সরকারী জায়গায় মাদ্রাসা না করার জন্য বলেছি, আমি কোন গুলি করি নাই। সব মিথ্যা রটানো হচ্ছে।

ফটিকছড়ি থানার অফিসার অইনচার্জ মোঃ রবিউল ইসলাম জানান খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। সাটারগানের গুলিতে ৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মাদ্রাসা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ আছে। পুলিশ মোতায়েন করা আছে। অভিযোগ করা হলে অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ সায়েদুল আরেফিন জানান বিরোধীয় জায়গাটি যেহেতু সরকারী খাস খতিয়ানের জায়গা সেখানে কেউ ব্যক্তিগত ভাবে মাদ্রাসা বা কোন স্থাপনা নিমার্ন করতে পারে না। তাই তাদেরকে কোন নিমার্ন কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।